সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বর্ধিত সভা
বিমল চৌধুরী ॥

আওয়ামী সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের দাবিতে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গণঅনশন কর্মসূচি পালনের লক্ষ্যে জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা স্কাউট ভবনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষন মজুমদার। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী।

সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি তপন সরকারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা অজয় কুমার ভৌমিক, রাধা গোবিন্দ গোপ, প্রফেসর রঞ্জিত কুমার বণিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃনাল কান্তি সাহা, মধুসূদন পোদ্দার (মধু), জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত কুমার সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয় রাম রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল রায়, মহিলা সম্পাদিকা মৃদুলা সাহা, সদস্য সঞ্জীত পোদ্দার, কর্ণরাজ ত্রিপুরা, প্রশান্ত কুমার সেন, রনি সাহা, সুকমল কর রামু, অমর কৃষ্ণ শীল, সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, হাজীগঞ্জ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রফেসর স্বপন কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি গনেশ ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক বাদল রায় নন্দী, শাহরাস্তি উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সস্পাদক কমল চক্রবর্তী, কচুয়া উপজেলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সস্পাদক প্রিয়তোষ পোদ্দার, মতলব উত্তর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি রাধেশ্যাম সাহা, সাধারণ সস্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর সদর পৌর কমিটির সভাপতি রিপন সাহা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ ভাস্কর দাস, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যুব ঐক্য পরিষদের জেলা আহ্বায়ক অমরেশ দত্ত জয়, যুগ্ম আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকারসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আজ বিভিন্নভাবে নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। অথচ তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না, যা হচ্ছে তা অনেক ক্ষেত্রেই দায়সারাভাবে হচ্ছে, যা আমরা কখনো আশা করিনি। আমরা মনে করি, সরকারের অজান্তে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে না। যদি অজান্তেই হয়ে থাকে তাহলে ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিচারে বিলম্ব কেন? মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় থাকার পরও আজ আমাদেরকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাস্তায় নামতে হবে, আন্দোলন করতে হবে কেন? বক্তাগণ উদাহরণ টেনে বলেন, ভারতের অনেক রাজ্যে দাঙ্গা হয়, কিন্তু পশ্চিম বঙ্গে দাঙ্গা হয় না কেন এর কারণ জানতে চাইলে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বলেন, এই রাজ্যের সরকার দাঙ্গা চায় না। বক্তারা বলেন, আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক নির্বাচনে ভোট দেই, কিন্তু দাবি আদায়ে সোচ্চার হই না। আমরা সকল সময়ই মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ভোট দেই সত্য, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সরকার ক্ষমতায় এসে আমাদের স্বার্থ সংরক্ষণে উদাসীন হয়ে পড়ে। যদি তা না হতো তাহলে বর্তমান সরকার তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষায় আন্তরিক হতেন। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দেয়া সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের দাবিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। বক্তাগণ আরো বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে নাকি সংখ্যালঘু সম্প্রদায় রয়েছে ৭ থেকে ৮ ভাগে। আমরা এই সংখ্যা সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করছি। আমাদেরকে খাটো করে দেখানোর জন্যেই এই সংখ্যা উত্থাপন করা হচ্ছে, যা সঠিক নয়। বর্তমানে আমরা ১২ হতে ১৪ ভাগ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক এই স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করছি। এই স্বাধীন দেশে আমরা কী কী সমস্যা নিয়ে বেঁচে আছি তা ক্ষমতাসীন মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সরকারের অজানা নয়। তারা আরো বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের কাছেই যদি দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করতে হয়, তাহলে আমাদের দুঃখের শেষ কোথায় তা সকলকেই ভেবে দেখতে হবে।

বর্ধিত সভায় জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ব্যাপক উপস্থিতিতে স্কাউট ভবন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। আগের কোনো সভায় এমন উপস্থিতি পরিলক্ষিত হতে দেখা যায়নি।

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার চাঁদপুর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে অন্যান্য জেলার ন্যায় চাঁদপুর জেলায়ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আয়োজনে গণঅনশন কর্মসূচি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়