প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
ঝালকাঠি জেলার সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ নামে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান বেলাল (৫৫) নামে একজনসহ ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ওই জাহাজের ইঞ্জিন ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে তাঁর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
শনিবার দুপুরে তেলের ওই জাহাজে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন দগ্ধ ও ৪ জন নিখোঁজ হন।
বেলাল চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের বাঘড়া বাজারের নিকটস্থ সোবানপুর গ্রামের সাদিকুর রহমানের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে চাঁদপুর শহরের ছৈয়াল বাড়ি রোডে বসবাস করছিলেন। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক।
বেলালের বোন লতা বেগম জানান, আমার ভাই শনিবার (১ জুলাই) সকাল ৮টায় বাসা থেকে বের হয়ে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটের সময় বাড়িতে ফোন করে জানান, তিনি জাহাজে পৌঁছেছেন এবং নামাজ পড়ে দুপুরের খাবার খাবেন। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে জাহাজে অবস্থান করা একজনের কাছ থেকে আমরা জাহাজটিতে বিস্ফোরণের খবর পাই। তারপর থেকে আমার ভাইয়ের কোনো খোঁজ-খবর পাচ্ছিলাম না। তিনি আরো জানান, এই খবর শোনার পর থেকে আমাদের পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবারের সদস্যদের কান্না কিছুতেই থামছে না।
জানা গেছে, গত ১ জুলাই শনিবার দুপুর ২টার দিকে সুগন্ধা নদীতে ঝালকাঠি পৌর খেয়াঘাটের বিপরীত পাশে নোঙ্গর করা অবস্থায় পদ্মা অয়েল কোম্পানির তেল বোঝাই ‘এমভি সাগর নন্দিনী-২’ জাহাজে আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই জাহাজের ইঞ্জিনকক্ষের ওপরে থাকা মাস্টার ব্রিজটি পুরোপুরি ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। তবে যে অংশে তেল রয়েছে, সেই অংশটি অক্ষত থাকায় নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়েনি। বিস্ফোরণের পর ওই জাহাজের ৯ জন কর্মীর মধ্যে ৪ জন নিখোঁজ হন। বাকি ৫ শ্রমিক দগ্ধ হয়ে আহত হন। রোববার (২ জুলাই) নিখোঁজদের মধ্যে আব্দুস সালাম হৃদয় নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর ২টার দিকে জাহাজের ইঞ্জিনরুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত হৃদয় জাহাজের গ্রিজারম্যান ছিলেন।
এদিকে সোমবার সকালে চাঁদপুরের মাসুদুর রহমান বেলাল সহ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস দল। বেলাল জাহাজের ইঞ্জিন ড্রাইভার ছিলেন।