প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৩, ০০:০০
![কচুয়ায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে রাতের আঁধারে মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ](/assets/news_photos/2023/05/06/image-32618.jpg)
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নে প্রশাসনের একাধিকবার নিষেধাজ্ঞার পরও রাতের আঁধারে ভেক্যু দিয়ে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের রহিমানগর-ইসলামপুর সড়কের গোহট নোয়াবাড়ির পশ্চিম পাশে বিশাল চাষাবাদী কৃষি মাঠ সংলগ্ন ৩০-৪০ ফুট গভীর করে শামিম পাটওয়ারী নামে এক ব্যক্তি মাটি বিক্রি করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত সাড়ে ১০টায় সরজমিনে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পরে রাতেই কচুয়া থানায় অবগত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ঈদুল ফিতরের পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল হাসান ওই ভূমিদস্যুর বিষয়টি অবগত হলে তিনি তাৎক্ষণিক সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনে আল জায়েদ হোসেনের মাধ্যমে গোহট দক্ষিণ ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কার্তিক চন্দ্র দাসকে দু-দফা সরজমিনে পাঠিয়ে শামিম পাটওয়ারীকে সতর্ক করে ভেক্যু ও হাইড্রলিক গাড়ি মাটি কাটার স্থান থেকে তুলে দেয় এবং ঈদের পর পুনরায় রাতের অন্ধকারে ওই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫-২০ বছর পূর্বে ওই কৃষি জমি মাঠ অংশে এলাকার দুই ব্রীকফিল্ড মালিক দেড় একর কৃষি জমি ক্রয়ের মধ্যে ৮-১০ ফুট করে মাটি কেটে নেয়ার পর মৎস্য চাষের জন্য এক ইউপি সদস্যের নিকট বর্গা দেয়। এতে আশপাশের কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। সম্প্রতি ব্রীকফিল্ড মালিক থেকে ওই ভূমিদস্যু ভূমি ক্রয় করে এবং মাটি কাটার কোনো আইন, নিয়ম, বিধি না মেনে কৃষি জমিকে ধ্বংস করে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শামিম পাটওয়ারী আইন-কানুনের প্রতি কোনো তোয়াক্কা না করে পানি নিষ্কাশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ খালের উপর দিয়ে রাস্তা বেঁধে রহিমানগর-ইসলামপুর সড়ক দিয়ে মাটি পারাপার করছে। ভূমিদস্যুদের ভয় আতঙ্কে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পাচ্ছেনা। তবে সম্পতি বাবুল গাজী নামে এক ব্যক্তি ভূমিদস্যু শামিম পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কিছুই হচ্ছে না।
গত বছরেও শামিম পাটওয়ারী বর্ষা মৌসুমে ওই স্থান থেকে অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালি উত্তোলনের পাঁয়তারা করলে স্থানীয় এক ব্যক্তি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে তা ভেস্তে যায়। এছাড়াও কচুয়া উপজেলার বিশেষ করে ৯, ১০, ১১ ও ১২নং ইউনিয়নে ভূমিদস্যুদের এমনি তাণ্ডবলীলায় ফসলী জমি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।