রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৩, ০০:০০

শ্রমিক শ্রেণিকে অবজ্ঞা করে অর্থনৈতিক সফলতা অর্জন করা যাবে না
বিমল চৌধুরী ॥

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ১ মে সোমবার ঐতিহ্যবাহী পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমৃদ্ধ পুরাণবাজার নতুন রাস্তায় মে দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুরাণবাজার উত্তর অঞ্চল গদীঘর লেবার ইউনিয়ন (রেজিঃ নং- চট্টঃ ২০৫৮) আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক সালাউদ্দিন মোহাস্মদ বাবর, জেলা চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাজমুল আলম পাটওয়ারী, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন মানিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুলাল কাজী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুরাণবাজার উত্তর অঞ্চল গদীঘর লেবার ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আব্দুল হক সর্দার এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য মোঃ ইমন গাজী।

বক্তারা শ্রমিক আন্দোলনে শহিদ শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে নিজেদের ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের লক্ষেই শ্রমিক শ্রেণি সেদিন আন্দোলন করতে বাধ্য হয়েছিল। আর এই আন্দোলন করতে গিয়ে বহু শ্রমিককে প্রাণ দিতে হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যবন্দর চাঁদপুরে শ্রমিক আন্দোলনের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে। বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ শাসন আমলে চা বাগানে কাজ করার জন্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিক নিয়ে আসা হতো। তাদের কোন ছুটি-ছাটা ছিলো না, দেয়া হতো না ন্যায্য মুজুরি, করা হতো নির্যাতন, এক পর্যায়ে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো পরিবার পরিজন থেকে। এমনি পরিস্থিতিতে চা বাগানে কর্মরত শ্রমিকরা ব্রিটিশদের নির্যাতনের প্রতিবাদে মুুল্লুকে চল, আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনরত হাজার হাজার শ্রমিক পায়ে হেঁটে চাঁদপুর বড় স্টেশনে এসে জড়ো হন। শ্রমিকদের মুল্লুক যাওয়া রুখে দিতে সেদিন, ব্রিটিশদের গূখা বাহিনী বড় স্টেশনে জড়ো হওয়া হাজার হাজার শ্রমিকদের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করেন। তাদের গুলিতে নিহত শ্রমিকদের লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয় মেঘনার জলে, কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়ায় বাণিজ্যবন্দর নামে খ্যাত চাঁদপুর। এমনি অনেক ঘটনার কারণেই শ্রমিক শ্রেণি সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের আন্দোলন শুরু করেন। আর ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনে জীবন দিয়ে তারা তাদের দাবি আদায়ে সক্ষম হন। বক্তারা আরো বলেন, শ্রমিক শ্রেণিকে অবজ্ঞা করে অর্থনৈতিক সফলতা অর্জন করা যাবে না। অর্থনৈতিক সফলতা অর্জন করতে হলে মালিক শ্রমিক ঐক্যের প্রয়োজন রয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে শ্রমিক শ্রেণির অবদান অনস্বীকার্য বলেও তারা উল্লেখ করেন।

উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক পরেশ চন্দ্র মালাকার, পুরানবাজার উত্তর অঞ্চল গদীঘর লেবার ইউনিয়নের সাধারণ সস্পাদক মোঃ হারুনুর রশিদ খান (হারুন), সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ পান্নু বেপারী, কোষাধ্যক্ষ মোঃ বাবুল দেয়ান, বাতাসা পট্টি লেবার ইউনিয়ন (রেজি নং- ১৮৪০) সভাপতি মোঃ শামসুল হক সর্দার, সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন মৃর্ধা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মিজান দেওয়ান, ট্রাকঘাট লেবার ইউনিয়ন সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম তাজু সর্দার, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী মাঝি প্রমুখ। মে দিবস উপলক্ষে এদিন বাজারে কর্মরত সকল শ্রমিক কাজ বন্ধ রাখেন। ফলে অধিকাংশ পাইকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই ছিল একপ্রকার বন্ধ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়