বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চাঁদপুর সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২নং আশিকাটি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি বিল্লাল সরদারের মৃত্যুতে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদল এ স্মরণ সভা ও দোয়ার আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যাদের কথায় হাজার হাজার শ্রমিক ঝাঁপিয়ে পড়তো সেই মানের একজন নেতা ছিলেন আমার বিল্লাল ভাই। এই নেতার অভাব পূরণ করা আমাদের জন্য খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। বিলাল ভাইয়ের অনেক গুণ ছিলো, পরিচয় ছিলো, পরিচিতি ছিলো। যা আমরা বুঝতে পেরেছি তার জানাজায় উপস্থিতি দেখে। তাই আমি হলফ করে বলতে পারি, মরহুম বিল্লাল ভাই শুধুমাত্র আমাদের কাছেই প্রিয় ছিলেন না, তিনি তার ইউনিয়নেও জনপ্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। আজ এই অনুষ্ঠানে আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করে। আর তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

সদর উপজেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খানের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব নয়ন মাহমুদ ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্মৃতিচারণ করেন জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মীর আনোয়ার হোসেন বাচ্চু, জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ খলিফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খলিল হাওলাদার, পৌর শ্রমিক দলের আহ্বায়ক ফরিদ আহমেদ মস্তান, সদর উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, জেলা সিএনজি অটোরিক্সা শ্রমিক দলের সভাপতি মকবুল হোসেন, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল, ৮নং বাগাদী ইউনিয়ন শ্রমিকদলের আহ্বায়ক শহীদ বেপারী, ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের শ্রমিক নেতা খালেক, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের খন্দকার, শহর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক চারু, পৌর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার খলিফা, রামপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সাবেক আহ্বায়ক জামাল ভূঁইয়া, রামপুর ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সদস্য সচিব শফিক, আশিকাটি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল প্রমুখ।

মরহুমের বড় ছেলে খোকন সরকার আবেগভরা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার বাবা যদি আপনাদের সাথে চলার পথে কোনোদিন কখনো কোনো অন্যায় করে থাকে তাহলে আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ করে দিবেন, আর আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।

আলোচনা শেষে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বেগম জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মুহাঃ সাব্বির।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আরিফ খান, রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, তরপুরচণ্ডী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহ্বায়ক মানিক খান, ৮নং বাগাদী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব রাজু গাজী, তরপুরচণ্ডী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক, মৈশাদী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুর রহমান গাজী, চান্দ্রা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের প্রস্তাবিত সাধারণ সম্পাদক ইমান হোসেনসহ জেলা, উপজেলা, সদর, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় বক্তারা বলেন, এই যে ভাইজান মারা গিয়েছে, তার প্রোগ্রামে বুঝা যায় তিনি অবশ্যই একজন ভালো লোক ছিলেন এবং ভালো নেতা ছিলেন। তিনি আমাদের খুব ভালবাসতেন, আমাদেরকে বুদ্ধি পরামর্শ দিতেন। আমরা মরহুমকে হারাইনি, আমরা আমাদের সংগঠনের একজন পিতাকে হারিয়েছি। এইরকম নেতা ভবিষ্যতে আর পাব কিনা সন্দেহ।

উল্লেখ্য, শ্রমিক দল নেতা মোঃ বিল্লাল সরকার গত ২৩ এপ্রিল রবিবার সকাল পৌনে আটটায় চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার আনুমানিক বয়স ছিল ৬৫ বছর। তিনি পরিবারের মাঝে ৩ ছেলে ৩ মেয়েসহ স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী, সহকর্মীবৃন্দ রেখে যান।