রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

কচুয়ায় ব্লাস্ট রোগের কারণে আধাপাকা ধান কাটার ধুম
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

কচুয়ায় ব্লাস্ট রোগের কারণে আধাপাকা ধান কাটার ধুম পড়েছে। প্রায় পক্ষকালপূর্ব থেকে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের ইরিধান খেত নেকব্লাস্ট ও লিভব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হতে শুরু করে। আক্রান্ত হওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পুরো জমির ধানের ছড়া নেকব্লাস্টে সাদা রঙ ধারণ করে চিটা হয়ে যায়। অপরদিকে লিভব্লাস্টে সদ্য গজানো ধানের ছড়ায় কালো কালো দাগ পড়ে এবং একই সময়ের মধ্যে চিটা হয়ে যায়। উক্ত রোগের আক্রমণ থেকে ধান রক্ষায় ট্রুপার, নাটিভো, বীর, ফিলীয়া, নোব্লাস্ট ইত্যাদি ঔষধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। এসব ঔষধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগে কিছু অসাধু কীটনাশক ব্যবসায়ী নকল কীটনাশক ঔষধ বিক্রি করে মোটা অংকের অর্থ কামিয়ে নিচ্ছে। কৃষকরা ঔষধ ক্রয় করতে এসে বিক্রেতাদের ধারা প্রতারিত হয়ে নকল ঔষধ কিনে জমিতে ব্যবহার করছে। কিন্তু এসব নকল ঔষধের দ্বারা রোগের কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না কৃষকরা। এতে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পেয়ে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা এখন মন্দের ভালো হিসেবে আধাপাকা কাঁচা ধান কাটছে। তাদের মতে, আধাপাকা ধান কেটে যে ফলন পাবে তাতে অন্তত তাদের খরচটা পুষিয়ে আসবে।

আশ্রাফপুর গ্রামের কৃষক মমতাজ উদ্দিন, নাওপুরা গ্রামের নাছির মিয়া ও নূরপুর গ্রামের আবু তাহের জানান, তারা প্রতি ৬ শতকে চার থেকে পাঁচ মণ ধান পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন। কিন্ত আধাপাকা ধান কাটায় ফলন পাচ্ছেন দুই থেকে তিন মণ মাত্র।

চলতি মৌসুমে কচুয়ায় ১২ হাজার ৯শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে ইরি ধানের চাষ হয়। ফলনও ভলো হয়। কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়ার স্বপ্ন দেখে কৃষকরা। কিন্তু মৌসুমের শেষের দিকে এসে ব্লাস্ট রোগে তাদের সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন জানান, দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করায় ও জমিতে চাহিদামতো পানি না থাকায় ব্লাস্ট রোগে ধান খেত আক্রান্ত হয়েছে। তিনি জানান, নকল কীটনাশক ঔষধ বিক্রেতাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদানের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়