প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
![গরমের তাপে চার্জার ফ্যানের দামে আগুন](/assets/news_photos/2023/04/20/image-32148.jpg)
তাপ বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে অসহনীয় লোডশেডিং। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের ফাঁদ। এক লাফে চার্জার ফ্যানের দাম দ্বিগুণ। দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়েই মানুষ বেশি দামে চার্জার ফ্যান কিনছেন।
বুধবার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে চার্জার ফ্যান কেনার হিড়িক। ২ হাজার ৩শ’ টাকার চার্জার ফ্যান এখন বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকায়। দোকানদাররা বলছেন, চাহিদা বেশি থাকায় দাম বেশি। আমাদের কিছু করার নেই। লোডশেডিংয়ের সাথে তাপ বৃদ্ধির কারণে অনেকেই ঈদের কেনাকাটা কাটছাট করে চার্জার ফ্যান কিনছেন।
বুধবার সকালে চার্জার ফ্যান কিনে ফেরার পথে কথা হয় ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের নিপা আক্তার ও আসমা বেগমের সাথে। দুজনের হাতেই দুটি চার্জার ফ্যান। তারা জানান, ৬ হাজার টাকা করে দুটি চার্জার ফ্যান কিনেছেন ১২ হাজার টাকা দিয়ে। এজন্যে তাদের ঈদের কেনাকাটায় কিছু কাটছাট করতে হয়েছে। তাদের ক্ষোভ : সাড়ে ৩ হাজার টাকার চার্জার ফ্যান ৬ হাজার টাকায় কিনলাম। এসব দেখার কি কেউ নেই?
মতলব বাজারের ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী আল-মামুন জানান, তীব্র দাবদাহের কারণে কোম্পানিগুলো মালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আবার চাহিদা অনুযায়ী মালও পাচ্ছি না। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ হাজার ৩শ’ টাকার চার্জার ফ্যান এখন ৫ হাজার টাকারও বেশি।
শাওন ফ্যাশনের মালিক মেহেদী আহমেদ শাওন জানান, দিন-রাতের অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। গরমে শপিং করতে আসা নারী ও শিশুরা অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন।
মতলব জোনাল অফিসের ডিজিএম শহিদুল ইসলাম জানান, এ উপজেলায় প্রতিদিনের বিদ্যুতের চাহিদা ১১ মেগাওয়াট। পাচ্ছি ৬ মেগাওয়াট। এ হিসেবে ১ ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস জানান, বাজার মনিটরিং করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।