প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০
![কচুয়ায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন](/assets/news_photos/2023/04/18/image-32043.jpg)
কচুয়া উপজেলার শংকরপুর গ্রামের অধিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম (৭৩)কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে শংকরপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা মাঠে তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। জানাজা শেষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনে আল জায়েদ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এরপর মরদেহ যথাযোগ্য মর্যাদায় শংকরপুর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সিরাজুল ইসলাম পালাখাল মডেল ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২ মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন শনিবার মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলে ও ১ মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের বড় ছেলে তৌহিদুল ইসলাম শামীম পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত । ছোট ছেলে প্রকৌশলী ইসলামুল হক শিমুল স্কয়ার গ্রুপে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এবং তাঁর মেয়ে আমেনা আক্তার সুমি বাংলাদেশ সচিবালয়ে সিনিয়র অডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত।
সিরাজুল ইসলাম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি ভারতের পালাটোনা থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সেক্টর কমান্ডার মেজর এটিএম হায়দারের নেতৃত্বে ২নং সেক্টরে ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করেন। স্বাধীনতার পর বি.আর. ডি. এস.-এর রিসার্চ অফিসার পদে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলার ধড্ডা পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ে, কচুয়া উপজেলার পালাখাল ছালেহিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা ও সিংআড্ডা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তিনি যেমন রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তেমনি একজন ভালো শিক্ষক ও সমাজসেবী ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মবিন, জাবের মিয়া, আনোয়ার হোসেন সিকদার, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের ভূগোল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইকবাল উদ্দিন আহমেদ মিঠুসহ অন্যরা। সিরাজুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানকালে কচুয়া থানার ওসি মোঃ ইব্রাহিম খলিল, ডাঃ তারেক উদ্দিন আহমেদ, ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।