রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

শিক্ষকসহ তিন অভিভাবক সদস্যদের নামে আদালতে মামলা
শাহরাস্তি ব্যুরো ॥

শাহরাস্তিতে খিলাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের ঘটনায় ২ শিক্ষক ও গভর্নিং বডির তিন সদস্যের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মা। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বিচার না পেয়ে সর্বশেষ তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। মামলা করার পরও পুলিশ আসামীদের ধরছে না বলে শনিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থীর মা মুকছুদা বেগম।

মামলায় অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ কাউছার আলমের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এবং কাউসারসহ সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমান, গভর্নিং বডির সদস্য মাহফুজুর রহমান, মাহবুব ও কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাহরাস্তি আমলী আদালতে অভিযোগ করা হয়েছে।

জানা যায়, ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণীর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিঝুম গত ১৪ মার্চ মঙ্গলবার প্রতিদিনের ন্যায় বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণী কক্ষে পাঠ গ্রহণ করে। ৫ম ঘন্টার ক্লাস শেষ হওয়ার পর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমান বিএসসি ওই শিক্ষার্থীকে মাঠে ডেকে এনে বেত্রাঘাতে রক্তাক্ত জখম করেন। পরবর্তীতে নিজেকে বাঁচাতে শিশুটি দৌড়ে পালাতে গেলে অপর সহকারী শিক্ষক মোঃ কাউছার আলম শিক্ষার্থীর পিছনে ধাওয়া করে বিদ্যালয়ের অদূরে নারায়ণ মাস্টারের বাড়ির সামনে পুনরায় বেত্রাঘাত করেন। এতে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে শিক্ষক তাকে রেখে চলে যান। বিদ্যালয়ের আয়া মায়া রাণী তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান। তার মা মেয়ের শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে শাহরাস্তি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করান। পরদিন ১৫ মার্চ তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী রুহুল আমিনকে দায়িত্ব দেন। তদন্তে মারধর ও বেত্রাঘাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ২৩ মার্চ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতিকে অনুরোধ করে পত্র পাঠান।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মুকছুদা বেগম আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তিনি আরো জানান, সহকারী শিক্ষক মোঃ কাউছার আলম বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থী জান্নাতুল নাঈম নিঝুমকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও কুপ্রস্তাব দিত। মেয়েটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দায়ের করা অভিযোগে ঘটনার দিন আমার মেয়েকে ছুটির পর যৌন হয়রানির বিষয়টি উল্লেখ করিনি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযুক্তদের রক্ষায় উল্টো আমার মেয়েকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্যে বিভিন্ন অপকৌশল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন রশীদ জানান, ওই ছাত্রীর মায়ের দায়েরকৃত অভিযোগটি তদন্ত শেষে ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতিকে পত্র দেয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়