প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
![কচুয়ায় টিউবওয়েলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির হিড়িক](/assets/news_photos/2023/01/09/image-28192.jpg)
কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ, আশ্রাফপুর, কড়ইয়া ও গোহট উত্তর ইউনিয়নে টিউবওয়েল, কৃষি সেচের মোটর, মসজিদের মাইক-মেশিন, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন মালামাল সম্প্রতি চুরির হিড়িক পড়েছে। জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি শুক্রবার গভীর রাতে কচুয়া থানা পুলিশের এসআই মোশারফ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আশ্রাফপুর গ্রামের পাচুর বাড়ি সংলগ্ন কেআইডিপি অফিসের সামনে থেকে পরিত্যক্ত একটি সিএনজি অটোরিকশাকে ৩টি টিউবওয়েলসহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
সম্প্রতি গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোহট গ্রামের চৌধুরী বাড়ির সোহেল চৌধুরীর হাইড্রোলিক গাড়ির ব্যাটারী, হাজী বাড়ির হাজী সৈয়দ আহমেদের সেচ চালিত ৪টি মোটর, হাজী সৈয়দ আহমেদের পাঞ্জেগানা মসজিদের মাইক-মেশিন, টিউবওয়েলের মাথা ও তার ছেলে আব্দুল হাকিমের সিএনজি ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে যায় চোর। এছাড়াও গোহট গ্রামের জসিম উদ্দীনের নতুন অটোরিকশা, হোসেনের ছেলে জমিসের অটোরিকশা, জনকল্যাণ সংঘের ব্যবহৃত টিউবওয়েল, কাশিমের টিউবওয়েল ও বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে দামী মোবাইলসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্র।
আশ্রাফপুর থেকে সিএনজি অটোরিকশা ও ৩টি টিউবওয়েল উদ্ধার বিষয়ে এসআই মোশারফ হোসেন জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালালে গাড়িটি রেখে ড্রাইভার ও চোরচক্র পালিয়ে যায় এবং পরিত্যক্ত অবস্থায় সিএনজি ও ৩টি টিউবওয়েল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তিনি আরও জানান, আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরু মিয়ার মাধ্যমে চুরি হওয়া ২টি টিউবওয়েল শনাক্ত করে মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়।
আশ্রাফপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ মাহাবুব আলম চুরিকৃত মালামাল উদ্ধারের বিষয়টি জেনে এসআই মোশারফকে জানান, সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভারসহ চোরচক্রকে শনাক্ত করা ছাড়া আমার এলাকায় চুরি হওয়া মালামাল কেউ ফেরত নেবো না।
এদিকে চোর শনাক্ত না করে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরু মিয়া মালামাল ফেরৎ আনায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, আমরা সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার-মালিককে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। শনাক্ত করতে পারলে চোরচক্রটি ধরা যাবে। আমরা চোরচক্র শনাক্ত করার অভিযান অব্যাহত রেখেছি।