প্রকাশ : ০৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
![ওয়াজ মাহফিল ইসলাম প্রচারের চমৎকার এক মাধ্যম](/assets/news_photos/2023/01/08/image-28153.jpg)
মতলব উত্তর উপজেলার বড় হলদিয়া বোরহানুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আশেকে রাসূল, মাশুকে এলাহী, পীরে কামেল, আল্লামা শাহ্সূফী হযরত মুহাম্মদ ফরীদুদ্দীন আত্তার (রহঃ) কেবলার ৩দিনব্যাপী ১৭তম আজিমুশ্বান ইছালে ছাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি মাহফিল শুরু হয়ে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এ মাহফিল।
ছদরে জলছা আলহাজ্ব হাফেজ আল্লামা ওয়াহীদুদ্দীন মুহাম্মদ ইছাম। মাহফিলের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মোঃ ফখরুল ইসলাম সরকার।
শেষদিন ৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ওয়াজ করেন ওস্তাজুল উলামা শাইখুল হাদিস আলহাজ্ব মোঃ সিরাজউদ্দৌলা প্রধান মুহাদ্দিস আল ওয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসা, আল্লামা খাজা মোঃ আরিফুর রহমান তাহেরি পীর সাহেব গাছতলা দরবার শরীফ, তরুণ উদীয়মান আলেমে দ্বীন মুফতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম হেলালী প্রধান মুহাদ্দিস ধামতি আলিয়া মাদ্রাসা কুমিল্লা, মাওলানা মোঃ সোলাইমান ফকির প্রধান ফকিহ আল ওয়েসিয়া কামিল মাদ্রাসা, আন্তর্জাতিক ক্বারী মুহম্মদ জহিরুল ইসলাম ঢাকা, মুফতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ফরিদী খাদেম বিশ্ব জাকের মঞ্জিল ফরিদপুর।
আলহাজ্ব হাফেজ আল্লামা ওয়াহীদুদ্দীন মুহাম্মদ ইছাম বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলার শহরে, গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় অবস্থিত মসজিদ, মাদ্রাসা কিংবা দ্বীনদরদী মুসলিম ভাইদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন বেশ পরিচিত একটি চিত্র। এমন দৃশ্য বিশ্বের অন্য কোনো মুসলিম দেশে সাধারণত দেখা যায় না। আয়োজিত এসব ওয়াজ মাহফিলে প্রাজ্ঞ আলেম, পীর-মাশায়েখ ও বুজুর্গরা সাধারণ মুসলমানদের জন্যে ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ সব ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং সারারাত জেগে, গভীর আগ্রহ সহকারে কোরআন-হাদিসের আলোচনা শোনেন। পর্দার আড়ালের মা-বোনেরাও নিজ বাসা বাড়িতে বা আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ওয়াজ শোনে থাকেন। বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্মপ্রাণ-এসব ওয়াজ মাহফিলের উপস্থিতি দেখে তা অনুমান করা যায়।