প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
বাংলাদেশে আসা ৪ চীনা নাগরিকের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। একই সঙ্গে ওই চারজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় দৈনিক বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন।
অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন বলেন, বিকাল ৩টার দিকে চীন থেকে একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তারা। বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিংয়ের সময় ৪ যাত্রীর অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়। এরপর তাদের মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠায় বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ দৈনিক বাংলাকে বলেন, চারযাত্রীর মুখ লাল ছিল। তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্টে তারা করোনাতে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়। পরে তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ আরও বলেন, চীন থেকে তারা আরটিপিসিআরে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে তাদের কিছু লক্ষণ দেখে সন্দেহ হওয়াতে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়। সেখানেই তারা পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়। তাদের পজিটিভ হবার বিষয়টি আইইডিসিআরকে জানানো হয়েছে এবং তাদের চারজনকেই মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এই চারজনের পুনরায় আরটিপিসিআর টেস্ট করা হবে বলেও তিনি জানান।
ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, বিমানবন্দরে গত এক বছর ধরেই র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু এতদিন পজিটিভ পাওয়া যায়নি। আজ আমরা একসঙ্গে চারজনকে পেলাম।
নতুন করে বেশ কয়েকটি দেশে কোভিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের সব বন্দরে স্ক্রিনিং বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয় গত ২৫ ডিসেম্বর। সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেয়ার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনার নতুন যে ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বিএফ৭, সেটি বিএ৫-এর একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে এটার সংক্রমণ ক্ষমতা চারগুণ বেশি। এটির আরেকটি ভয়ানক দিক হচ্ছে খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে। সূত্র : দিনকাল।