বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮

যৌথ বাহিনীর এমন অভিযানেই স্বস্তি

কাজী শাহাদাত
যৌথ বাহিনীর এমন অভিযানেই স্বস্তি

চঁাদপুর শহরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে একটি শর্টগান, দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতি করার সরঞ্জামসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) ভোরে শহরের ওয়্যারলেস মোড়, মুন্সিবাড়ী ও ইবু গাজীর মেস এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। সকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে চঁাদপুর আর্মি ক্যাম্প থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়। অভিযানে আটক ব্যক্তিরা হলেন : মো. মামুন (২৮), আব্দুল হালিম রকি (২৩), মো. বেলাল (৪০), মো. সুজন (২৮) ও মো. লিটন (২৫)।  এই আটককৃতদের কাছ থেকে একটি শটগান, তিনটি শটগান অ্যামুনিশন, একটি ওয়ার রড কাটার, একটি গ্রাইন্ডার মেশিন, একটি নাট রেঞ্জ, দুটি পাইপ স্টিক, একটি মাঝারি হাতুড়ি, একটি চাকু, একটি সিলাই রেঞ্জ, একটি কাটিং প্লাস, একটি রশি, একটি গাড়ির নেমপ্লেট (যার নম্বর ১২-৫৭৫৬), তিনটি গ্যাস লাইট ও তিনটি ইয়াবা সেবন পাইপ উদ্ধার করা হয়।

           চঁাদপুর আর্মি ক্যাম্পের অপারেশনাল অফিসার লেফটেন্যান্ট জাবিদ হাসান বলেন, আটক ৫ ব্যক্তি, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও দ্রব্য-সামগ্রী আইনী ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম চলমান থাকবে। পুলিশ জানায়, আটককৃতদের সবার বাড়ি নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায়।

           এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, চঁাদপুরে ইতিপূর্বে যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়েও আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ডাকাতির মামলা করা হবে।

          সাম্প্রতিক সময়ে চঁাদপুর শহরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কিশোর গ্যাং, সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী আটক, মাদক ও বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের পর মঙ্গলবার আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার এবং পঁাচজনকে আটকের বিষয়টি জনমনে এনে দিয়েছে স্বস্তি। কেননা এটা স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করে বলা যায়, আটককৃতরা ডাকাত, যারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অদূরে ওয়্যারলেস মোড় এলাকায় ভূমিদস্যু বলে কুখ্যাত  এক ব্যক্তির মেস  ও একটি বাড়িতে এই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান নিয়ে  নিজেদের নিরাপদ ভাবাটা দুঃসাহসিকতাপূর্ণ ও বিস্ময়কর। আমরা যৌথ বাহিনীর অভিযানে এমন দুষ্কৃতকারীদের আটক ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করতে পারাটাকে বিরাট সাফল্য হিসেবে দেখছি এবং সেজন্যে তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস  করি, যৌথ বাহিনীর এমন সঁাড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।

           উল্লেখ করা দরকার, যে কোনো দেশের পট পরিবর্তনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও পরিবর্তন হয়। আমেরিকায় বাইডেন সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশঙ্কাজনক অবনতি ঘটে। বাইডেনের  বিদায়ের পর ট্রাম্প সরকারের আগমনে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। এতে একমাসেরও কম সময়ের মধ্যে পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি ঘটে। আমাদের দেশে ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবের মুখে জগদ্দল পাথরের ন্যায় চেপে বসা ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। যেটা থেকে নানান কারণে উত্তরণ ঘটছিলো না।  অবশেষে  ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫  থেকে অপারেশন ডেভিল হান্টে যৌথ বাহিনীর অভিযান জোরদার হয়েছে  এবং পরিস্থিতির উন্নতি হতে যাচ্ছে।  এটা সাধারণ মানুষের জন্যে অনেক স্বস্তির বিষয়--যেটা সন্তুষ্টির সাথে বলা যায়। আমরা অপারেশন ডেভিল হান্টের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।        

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়