মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের কৃতী সন্তান, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি সদস্য ও মোজাদ্দেদীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কমিটির সদস্য মোঃ সলিম উল্লাহ লাভলু মেম্বারকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে খুনীদের ফাঁসের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার মান্দারতলী বাজার সড়কে আয়োজিত এ মানববন্ধনে এলাকার ছোট থেকে বড় ও শিশু থেকে বৃদ্ধ সহস্রাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।

এ সময় সলিমুল্লাহ লাভলু হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ফাঁসির দাবি জানান মানববন্ধনকারী ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা। বক্তব্য রাখেন ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, ইউপি সদস্য জহিরুল হক, ছিদ্দিকুর রহমান, ডাঃ আমিনুল হক, মোঃ আল-আমিন, আঃ হান্নান মাস্টার, মীর শরীফ আহমেদ, মনজুর আহসান নোবেল, আনোয়ার সাহাদাত সুমন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সলিমুল্লাহ লাভলু একজন ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি মানুষের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এমন একজন ভালো মানুষকে দুষ্কৃতকারীরা হত্যা করেছে। লাভলু হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানাচ্ছি। বক্তারা আরো বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে প্রশাসনের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা চাই। প্রায় দুই মাস হয়ে গেলো, এখনও কোনো তথ্য উদ্ঘাটন হলো না। পুলিশ প্রশাসন চাইলে অল্প সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারে। খুব দ্রুত এই হত্যাকাণ্ডের আসামীরা আইনের আওতায় আসবে-এটাই আমাদের দাবি।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক লাভলু ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাতে তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। তার ডানকানের নিচে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরদিন গত ২ নভেম্বর ভোরে নিহত সলিমুল্লাহ লাভলুর বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় থানা পুলিশ।

এদিকে এ ঘটনার পর হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত মাইনুদ্দিন ও সানোয়ার হোসেন সানু নামে দুইজন এবং সন্দেহভাজন একজন মোজাম্মেলসহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্তকরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আমার আশা খুব দ্রুত সকল তথ্য উদ্ঘাটন করতে পারবো।