চাঁদপুরে জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী ফাযিল মাদ্রাসা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, মাদ্রাসার জন্যে স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করে শিক্ষার অস্তিত্ব রক্ষা করুন। তা না হলে মাদ্রাসা শিক্ষার অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। ২০২৩ সালের জন্যে নতুন পাঠ্যবই স্কুল ও মাদ্রাসার একই পাঠ্য হবে মর্মে এনসিটিবি ঘোষণা দিয়েছে। সেখানে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে যে সকল মূর্তি, উলঙ্গ ছবি, মেয়েদের বেপর্দা ছবি দিয়েছে। এগুলো ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক। এ সকল বই মাদ্রাসা তো দূরে থাকুক, স্কুলও পাঠ্য করা সম্ভব নয়।

তিনি আরো বলেন, ইসলামী শিক্ষার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী আন্তরিক। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর অবদান সোনালি হরফে লেখা থাকবে। কিন্তু সরকারের ভেতর বা পাঠ্যবই রচনায় একটি তৃতীয় পক্ষ প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর অবদানকে ম্লান করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এ অশুভ চক্র আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এদেশের আলেমণ্ডওলামা-পীর-মাশায়েখদেরকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংগঠনের জেলা যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু জাফর মোঃ মাঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ জসিম উদ্দিন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মুফতি মোঃ আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওঃ মোঃ মিজানুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা সভাপতি অধ্যক্ষ এটিএম মোস্তফা হামিদী, জেলা দপ্তর সম্পাদক মোঃ জিয়াউদ্দিন খন্দকার প্রমুখ।

ওই বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রধান এবং জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের আলোকে আগামী ১৪ নভেম্বর চাঁদপুর ডিসি অফিস সংলগ্নে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।