হাইমচরে ইলিশ রক্ষা অভিযানের ২২ দিনে নীলকমল নৌ পুলিশ মেঘনা নদীতে ইলিশ নিধনের অপরাধে ৮২ জন জেলেকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এই সময়ে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল, ২০টি নৌকা ও ১২০০ কেজি বিভিন্ন সাইজের ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। বিগত বছরের তুলনায় এ বছরই সেরা অভিযান পরিচালনা হয় নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির।

নীলকমল নৌ-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ রক্ষায় সকল ধরনের মাছ নিধন ও ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করে সরকার। এ নিষিদ্ধ সময়ের ২২ দিনে ঢাকা নৌ-পুলিশ হেডকোয়ার্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোরতাজা আলী খান ও নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হোসেন সরকারের নেতৃত্বে মেঘনায় বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গীয় ২৫ জন ফোর্স, নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ১০ জন, ঢাকা থেকে পাঠানো রিজাভ ফোর্স ১০ জনসহ নৌ-পুলিশের মোট ৪৫ জন সদস্য যৌথভাবে অভিযানে অংশ নেন। যৌথ অভিযানে ৮২ জনকে আটক করে ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়। ২টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২২ দিনের অভিযানে ৫ কোটি ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৬ কোটি টাকা। ২০টি নৌকা ও ১২০০ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেয়া হয়। জব্দকৃত মাছগুলো স্থানীয় গরিব ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়।

নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ হোসেন সরকার জানান, নীলকমল নৌ-পুলিশ সৃষ্টি হওয়ার পর কখনো এমন অভিযান পরিচালিত হয় না। সর্বকালের সেরা অভিযান পরিচালিত হয় এবার। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ৪৫ জন নৌ-পুলিশ নিয়ে এ বছর আমাদের অভিযান পরিচালিত হয়। রেকর্ড পরিমাণ জাল, আসামী, নৌকা ও মাছ জব্দ করতে পেরেছি এ বছর। আমরা দেশের সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করেছি।