শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালন এবং পূজার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বিক সমুন্নত রাখতে পূজা মণ্ডপ কমিটির সাথে মতবিনিময় করেছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে থানা চত্বরে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেনের সভাপ্রধানে ও এসআই জামাল হোসেনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল, ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ডাঃ পরেশ চন্দ্র পাল, উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি হিতেশ শর্মা, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীর চক্রবর্তী, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ণ রবিদাস, দাসপাড়া যুব সংঘের সভাপতি পরেশ চন্দ্র দাস, গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়ন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি অর্জুন মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুরী প্রমুখ।

ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশ পৃথিবীর এমন একটি দেশ, যে দেশের মানুষজন একে অপরের ধর্মীয় উৎসবে অংশগ্রহণ করে। পরস্পরের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ ধরে রেখে আবহমান কাল থেকে এ ধারা চলে আসছে। কিন্তু কিছু দুর্বৃত্ত সর্বদা সুন্দরতম এসব ধারাকে ব্যহত করতে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। বিগত বছরের পূজার সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। যা আপানারা সকলে জানেন। তাই সেসব ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি কেউ ঘটাতে না পারে, সেজন্যে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক লাগাতে হবে। এখন থেকে বিসর্জন পর্যন্ত নিয়মিত নিজেদের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরি করে মণ্ডপসহ আশপাশের এলাকা টহল দিতে হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইতিমধ্যেই মণ্ডপ এলাকায় গিয়ে তৎপরতা শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে তা বাড়বে। পূজার সময় রেজিস্টার করে দর্শনার্থীদের নাম ও মুঠোফোন নম্বর লিখে রাখতে হবে। মোট কথা একটি শান্তিপূর্ণ এবং জাঁকজমকপূর্ণ পূজা করতে সকলে মিলে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ২০টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।