সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

হাজীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আঃ হক। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি গত ৪ সেপ্টেম্বর সভাপতির কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। গত শনিবার বিকেলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভায় আঃ হকের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছে সংগঠনটি। তবে ভিন্ন একটি সূত্র দাবি করেছে, সমিতিতে অবমূল্যায়নের কারণে পদত্যাগ করেছেন আঃ হক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের মার্চ মাসে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের সমর্থিত প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন উপজেলার বড়কুল রামকানাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ হক এবং সহকারী শিক্ষকদের সমর্থিত প্যানেল থেকে সভাপতি নির্বাচিত হন হাজীগঞ্জ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক চন্দ্র দাস।

উক্ত নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই নির্বাচিত হয়েছেন সহকারী শিক্ষক সমর্থিত প্যানেল থেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, কমিটির অনুষ্ঠিত সভাগুলোতে সহকারী শিক্ষক প্যানেলের সদস্যদের প্রাধান্য সবার নজর কাড়ে আর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকসহ প্রধান শিক্ষক প্যানেল থেকে নির্বাচিত সদস্যরা অনেকটা কোণঠাসা থাকতে হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ ক’জন শিক্ষক জানান, যেসব বিদ্যালয় থেকে কোনো শিক্ষক কার্যকরী পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন নি বা নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করেননি, ওই সকল বিদ্যালয় থেকে একজন করে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ করা হতো। যার জন্যে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে নাম প্রস্তাবের জন্য সমিতি থেকে চিঠি প্রেরণ করা হতো।

পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক তাঁর বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকের সাথে সমন্বয় করে একজন কো-অপ্ট সদস্যের নাম প্রস্তাব করে সমিতিতে পাঠাতেন এবং তাকেই ওই বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসাবে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেয়া হতো। কিন্তু চলতি কার্যকরী পরিষদ এই নিয়ম না মেনে, পরিষদের সদস্যদের প্রস্তাব ও সমর্থনের ভিত্তিতে কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ করা শুরু করে। এটা সমিতির অনিয়ম ও অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মহল।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আঃ হকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে উল্লেখিত অভিযোগের কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে তিনি বিস্তারিত বক্তব্য না দিয়ে পরে জানাবেন বলে জানান।

সমিতির সভাপতি দীপক চন্দ্র দাস জানান, আজকে (শনিবার) সমিতির মিটিংয়ে সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগপত্র অনুমোদন করা হয়েছে। এখন থেকে সমিতির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগের বিষয়ে তিনি (সভাপতি) বলেন, ওই সময়ে আমি বলেছি, আপনি (আঃ হক) নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। কেন পদত্যাগ করছেন? তখন তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত কারণে এ পদত্যাগ। তারপরও আমি ও পরিষদের সদস্যরা তাঁকে বার বারবার অনুরোধ করেছি, তিনি যেন পদত্যাগ না করেন।

কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগের বিষয়ে সভাপতি দীপক চন্দ্র দাস বলেন, অভিযোগ রয়েছে। কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগে প্রধান শিক্ষকদের অবহিত (চিঠি প্রদান) করা হলে বেশিরভাগ প্রধান শিক্ষক তাঁর বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকের সাথে সমন্বয় না করে তিনি নিজেই কো-অপ্ট সদস্যের জন্য চলে আসতেন। তাই এ বছর সমিতির মাধ্যমেই কো-অপ্ট সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন প্রধান শিক্ষকও রয়েছেন।

ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, গত সভার আলোচ্যসূচি ছিলো, ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগপত্র দেয়ার কারণে ওই সময়ে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আগামী সভার আলোচ্য সূচিতে আবারো ব্যাংক অপারেটর পরিবর্তনের বিষয়টি রাখা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়