প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অপহরণ মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রীনারায়ণপুর গ্রামের অমির বাড়িতে। ওই গ্রামের একই বাড়ির মজিবুর রহমানের স্ত্রী বিউটি বেগম ২১ আগস্ট বিজ্ঞ বিচারিক আমলী আদালতে (হাজীগঞ্জ) একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৫ জনকে আসামী করা হয়। আসামীরা হলেন : মোঃ তাজুল ইসলাম আমির (৫৫) (পিতা মৃত মোতাহার হোসেন), আরমান আমির (২০) (পিতা তাজুল ইসলাম আমির), রেবেকা সুলতানা (৪২) (স্বামী মোঃ তাজুল ইসলাম আমির) ও তানিয়া আক্তার (১৮) (পিতা মোঃ তাজুল ইসলাম আমির)।
মামলার এজাহারে বিউটি বেগম উল্লেখ করেন, তার ছোটভাই প্রবাসী মোঃ আবদুর রহমানের খরিদকৃত সম্পত্তিতে গত ৩ আগস্ট ঘর নির্মাণের জন্য মালামাল নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ সময় আসামীগণ অতর্কিত হামলা করে। হামলায় মামলার বাদী বিউটি বেগম (৩০) (স্বামী মজিবুর রহমান), তার বোন লাভলী আক্তার (৪০) (স্বামী নজরুল ইসলাম তাজল) ও ফাতেমা বেগম (২৮) (স্বামী শহিদ উল্লাহ) রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। বিউটি বেগমের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ৩টি সেলাই লেগেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
লাভলী আক্তার জানান, আমার বোন বিউটি বেগমের মামলার ৩নং আসামী রেবেকা সুলতানা ওরফে রেবেকা খাতুন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আমার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামসহ আমার বাবা ও বোনকে জড়িয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চাঁদপুর-এ অপহরণ মামলা করেছেন। আমি ও আমার সন্তানসহ চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকি। আমার ছেলে রেবেকা সুলতানা ওরফে রেবেকা খাতুনের মেয়ে ও সুমাইয়াকে ২২ আগস্ট সোমবার উচ্চঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা যাওয়ার পথে অপহরণ করে বলে মামলা করেছে। মূলত আমার ছেলে সুরাইয়াকে চিনে না। আমার ছেলে আল-আমিন এতিমখানা কমপ্লেক্সে থেকে পড়াশোনা করে। রেবেকা তার স্বামী ও অন্যান্য আসামীকে আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আমাদের ফাঁসাতে অপহরণ মামলা করেছেন। আমরা আদালত ও পুলিশের নিকট সঠিক তদন্তের দাবি করছি এবং আমাদের প্রতি অতর্কিত হামলার বিচার চাই।