প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২২, ০০:০০
মোঃ জামাল পাটোয়ারী, পিতা মোঃ জলিল পাটোয়ারী, গ্রাম-শাসন পাড়া, কচুয়া, চাঁদপুর। বর্তমানে চাঁদপুর শহরের ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। তিনি ছোটবেলা হতে সংসারের হাল ধরে পিতাকে সহযোগিতা হিসেবে মিষ্টির কার্টুন তৈরি করতেন। এরই মাঝে পরিচয় হয় জসিম মেহেদীর সাথে। জসিম মেহেদী তাকে প্রস্তাব দেন পত্রিকা বিলিকারকের কাজ করার জন্য। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে পত্রিকা বিলিকারকের কাজ শুরু করেন। প্রতিদিন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা বিক্রি করে ৭০০/৮০০ টাকা পেতেন। এতে তাদের সংসার সুন্দরভাবে চলে আসছিল। গত ২০২০ সালে মহামারি করোনা শুরু হলে পত্রিকার চাহিদা কিছুটা কমে যায়। সাথে সাথে তাদের আয়ও কমে যায়।
একান্ত আলাপচারিতায় জামাল পাটোয়ারী বলেন, বর্তমানে তার বাবা, মা, শাশুড়ি, স্ত্রী, ৩ সন্তানসহ ৮ সদস্যের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মাস শেষ হলে গুণতে হয় বাড়ি ভাড়া। অপর দিকে বাসায় বৃদ্ধ বাবা প্রায় থাকে অসুস্থ।
তিনি বলেন, ২৮ বছর ধরে পত্রিকা বিক্রি করে আসছি আমি। যখন পত্রিকা বিক্রি শুরু করি ওই সময় প্রতিদিন ৭/৮ শ’ টাকা পেয়ে থাকতাম। ২০২০ সাল থেকে করোনা দেখা দেয়ার পর হতে পত্রিকার চাহিদা অনেকটা কমে যায়। ডিজিটাল যুগ ও মোবাইল ফোনে অনলাইনে নিউজ পড়ে নেয় বেশির ভাগ মানুষ। তাই অনেকে প্রিন্ট পত্রিকা কিনতে চায় না। আর যারা পত্রিকা পড়ার জন্যে পাগল হয়ে যান, একটু দেরিতে পত্রিকা নিয়ে গেলে হতাশায় থাকেন।
তিনি জানান, ঝড়, বৃষ্টি, রোদ ও বন্যা দিয়েও গ্রাহকদের হাতে পত্রিকা পৌঁছিয়ে দেই। বর্তমানে ৩৫০/৪০০ টাকা আয় হয়ে থাকে পত্রিকা বিক্রি করে। ৮ সদস্যের সংসার কোনো রকমে চলতে হচ্ছে। জায়গা থাকা সত্ত্বেও টাকার জন্য ঘর নির্মাণ করতে পারি না। তাই ভাড়া বাসায় থাকতে হয়। ভাই-বন্ধুরা মাঝে মধ্যে সহায়তা করে থাকে। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ মোটামুটি ভালো আছি। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। দাম কম হলে আরো একটু ভালো থাকতাম।