প্রকাশ : ২৪ মে ২০২২, ০০:০০
হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও একই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উক্ত শিক্ষকগণের নাম বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ সময় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টুসহ অন্য সকল শিক্ষা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত রোববার মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ঘোষণা করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। এতে উপজেলার শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক মিজানুর রহমান তুহিন ও ভোকেশাল শাখায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিরিন আক্তার।
ব্যক্তিগত পরিচিতি
দেলোয়ার হোসেন : হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেলোয়ার হোসেন যোগ দেন। ২০১২ সালে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন তিনি। ২০১৭ সালে একই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক হিসেবে চূড়ান্ত নিয়োগ লাভ করেন। ব্যক্তিজীবনে দেলোয়ার হোসেন ২ সন্তানের জনক ও তাঁর স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন।
মিজানুর রহমান তুহিন : ১৯৯২ সাল থেকে শিক্ষাকতা পেশায় জড়িত রয়েছেন। ২০০৫ সাল থেকে উক্ত বিদ্যলয়ের গণিতের শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে শিকক্ষতা করছেন। বনেদী পরিবারের সন্তান মিজানুর রহমান তুহিন ব্যক্তিজীবনে তিনি ৩ সন্তানের জনক।
শিরিন আক্তার : হাজীগঞ্জ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক শিরিন আক্তার। উপজেলার মধ্যে ভোকেশনাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ১ সন্তানের জননী শিরিন আক্তারের স্বামী মনিরুজ্জামান পাটোয়ারী উপজেলার ফিরোজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
এক প্রতিক্রিয়ায় উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও হাজীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ খসরু জানান, শিক্ষকগণের গুণগত মান আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মান ধরে রাখায় এ সফলতা অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। একই সাথে বিদ্যালয়ের পরিবেশ, পড়ালেখার মান, ফলাফলে আমরা অতীতের মতো ভবিষ্যতে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার ধারা অব্যাহত রাখবো। এজন্যে আমি বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, অভিভাবক, পরিচালনা পর্ষদ, এলাকাবাসীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করছি।