মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন সংগ্রামের ফসল বাঙালি জাতিরাষ্ট্র। তিনি জাতিসংঘে প্রথম বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়ে বিশ্বে বাঙালি জাতির মাথা উঁচু করেছেন। তাঁরই উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে জাতিকে উন্নত জাতিতে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে অতি দরিদ্রের চির অবসান ঘটিয়ে উচ্চ-মধ্য আয়ের স্তরে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের অবলুপ্তিসহ উচ্চ আয়ের উন্নত দেশে বাংলাদেশকে আসীন করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এ সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি ২৪ ফেব্রুয়ারি উপজেলার উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এক মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রধানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান ও জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ মনির হোসেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ আজিজ বাবুল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রোটাঃ শ্যামল চন্দ্র দাস, উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন মাস্টার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল দেওয়ানসহ অন্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ শতাধিক মহিলা অংশগ্রহণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে দেশব্যাপী ১ কোটি কোভিড টিকা প্রদান করা হবে। যারা টিকা গ্রহণ করেন নি, তাদের টিকা গ্রহণের জন্য চেয়ারম্যান অনুরোধ করেন। পাশাপাশি বাড়ির আশেপাশের কেউ টিকা গ্রহণ না করলে তাকে টিকা কেন্দ্রে পাঠানোর অনুরোধ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান বলেন, করোনা অতিমারিতে দেশব্যাপী বাল্যবিবাহ প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর মোকাবিলায় সমাজের সকল শ্রেণির মানুষকেই স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে হবে। এ সময় তিনি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে, শিক্ষক, আনসার ও ভিডিপির গ্রাম দলনেতা-নেত্রী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দলীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন। একই সাথে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা গ্রহণের জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের মেঘা প্রকল্প ও ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের উদ্দেশ্য ও এর ফলাফল জনগণকে অবহিতকরণ, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি), ভিশন-২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে দেশব্যাপী প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, মাদক, বাল্যবিবাহ, সন্ত্রাস জঙ্গি তৎপরতা, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ, নারী ও শিশু পাচার ইত্যাদি প্রতিরোধে প্রচলিত আইন সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নারী শিক্ষার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ে সরাসরি যোগাযোগমূলক কার্যক্রম হিসেবে এ প্রকল্পের আওতায় দেশব্যাপী ১৪০০টি মহিলা সমাবেশ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।