প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
গতকাল ৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুর না গড়াতেই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে আঁধার ঘনিয়ে নেমে আসে বৃষ্টি। খনার বচনে মাঘ মাসের বৃষ্টিকে প্রকৃতির জন্য খুব শুভ বলা হয়ে থাকে। তবে মাঘ মাসের কনকনে শীতের দুপুর হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টিতে মানুষের জীবনে অনেকটা ভোগান্তি নেমে আসে। শুক্রবার দুপুর একটার পর চাঁদপুরের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। দেশের অন্যান্য জেলায়ও একই অবস্থা ছিল। জুমার নামাজ শেষে শুরু হয় দমকা হাওয়া, বৃষ্টি। মাঘেই যেন রূপ নেয় ‘কালবৈশাখী’। দুপুর গড়িয়ে বিকেল এরপর সন্ধ্যা।
কখনো মুষলধারে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নামে। এ সময় নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বাড়ি ফিরতে খুবই ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূল মানুষেরা। কনকনে ঠা-া বাতাসে শরীরে শুরু হয় কাঁপুনি। আর এতেই জানান দিচ্ছে বসন্ত বেশি দূরে নয়। মাঘের শেষে এমন বাতাস, এরপর বৃষ্টি যেন ধুয়ে দেয় গাছের ডালে জমে থাকা বালুর স্তূপ। আগমন ঘটছে ঋতুরাজ বসন্তের।
আর কদিন বাদেই পহেলা ফাল্গুন। এবার ফাল্গুনে করোনায় হচ্ছে না কোনো ধরনের আয়োজন। তবু আসবে ফাগুন, ফুটবে ফুল। এক সুরে সবাই বলে উঠবে ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক এসেছে বসন্ত।’ কিন্তু এর আগ পর্যন্ত যেন এই বৃষ্টিতে জেঁকে বসবে আরও শীত-এমনটাই আশঙ্কা খেটে খাওয়াদের।
আবহাওয়া অধিদফতর আগেই জানান দিয়েছিল, শুক্র ও শনিবার দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। ছবিতে শুক্রবার বৃষ্টি ভেজা চাঁদপুর শহরের রাজপথ দেখা যাচ্ছে। পুরানবাজার থেকে দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়। ছবি ও প্রতিবেদন : মিজানুর রহমান।