প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) চাঁদপুর জেলার উদ্যোগে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের শিক্ষক ও কেয়ারটেকারদের মাসিক সমন্বয় সভা এবং ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ধর্মীয় নেতাদের (মসজিদের ইমাম) ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা হয়।
২১ অক্টোবর হাজীগঞ্জ উপজেলা মডেল রিসোর্স সেন্টার থেকে শুরু করে এমন সভা ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, চাঁদপুর সদর, কচুয়া, মতলব উত্তর ও শাহরাস্তিতে বুধবার পর্যন্ত করা হয়েছে বলে ইফা সূত্রে জানা গেছে। ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিটি সভা ইফার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, যুগে যুগে ইসলাম নিয়ে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা তাদের আদর্শ দিয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। আমরাও সে সকল পীর-মাশায়েখ ও বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামের পথ অনুসরণ করতে পারি। তিনি আরো বলেন, কুমিল্লায় পূজাম-পে কোরআন রাখা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় যে উত্তাপ শুরু হয়েছিল, সেটি কিন্তু যারা সঠিক ধর্ম পালনকারী তারা করেননি। যারা উগ্রপন্থী তারাই বিভিন্ন জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন। নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছেন। অথচ দেশে আইন আছে এবং এ বিষয়ে সরকারও আন্তরিক রয়েছেন। সেখানে কীভাবে বিশৃঙ্খলা করা হলো? ইমামদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় কোরআন হাদিসের আলোকে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য উপস্থাপন করুন। আপনারা মসজিদের ইমাম হিসেবে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় কোরআন হাদিসের আলোকে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করুন। না হয় ধর্মের দোহাই দিয়ে আমাদের হাজার বছরের সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় জোরালো ভূমিকা রাখাতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সকল সভায় বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ অংশ নিয়েছেন। ইফার ফিল্ড অফিসার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় সভাগুলোতে ফিল্ড সুপারভাইজার, মডেল কেয়ারটেকারগণ উপস্থিত ছিলেন।