প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
গত বুধবার হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আহত সাগর মিয়া (২৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এই নিয়ে এ ঘটনায় ৫ জন মারা গেলেন। মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাগর মিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সাগরের বাবা মোঃ মোবারক হোসেন ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ।
নিহতের বাবা মোবারক হোসেন চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, বুধবার রাতে তার ছেলে হাজীগঞ্জ বাজারে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে প্রথমে আলীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হলে মঙ্গলবার তিনি মারা যান।
সাগরের মা আমেনা বেগম বলেন, পাঁচ সন্তানের মধ্যে সাগর সবার ছোট। সাগর হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল ইউনিয়নের নোয়াদ্দা সুমন মাঝির মেয়েকে বিয়ে করেন। তার এক কন্যাসন্তান রয়েছে।
সাগরের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর খন্দকার বাড়ি। সাগর পেশায় ট্রাকচালক ছিলেন। তবে তারা সম্প্রতি হাজীগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।
সাগরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি।
উল্লেখ্য, কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার বিষয়কে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কে স্থানীয় কিছু তরুণ, যুবসমাজ ও মুসল্লি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউড় আখড়া পূজাম-প অতিক্রমকালে মিছিল থেকে কে বা কারা ইট-পাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশ প্রতিরোধের চেষ্টা করে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং পূজাম-পের গেট ভাংচুরের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় কিশোরসহ ৪ জন নিহত, ৪ জন গুলিবিদ্ধসহ পুলিশের ১৭ জন সদস্য আহত হয়। নিহতরা হলেন হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন ১১নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৪), একই গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন (১৮) ও আব্বাস উদ্দিনের ছেলে শামিম হোসেন (১৭) এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের শামছুল হকের ছেলে মোঃ বাবলু (৩৫)।