প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
মোঃ আবদুর রহমান গাজী ॥ চাঁদপুরে শেখ রাসেল দিবসে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তার মধ্যে ছিলো সরকারি শিশু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেক কাটা, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে অংশগ্রহণ, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এর আগে শিশু একাডেমীর মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের নিয়ে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের মাঝে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। এ সময় তিনি বলেন, পাড়ায় পাড়ায় ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তুলুন। অসাম্প্রদায়িকতা মানে ধর্মহীনতা নয়। অসাম্প্রদায়িকতা মানে যার যার ধর্ম সে পালন করবে। কেউ কারো ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। সমাজ ব্যবস্থাপনায় একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি রেখে চলবো। তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেল ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট সন্তান। সেদিন ছোট্ট এই শিশুর প্রতিও হায়েনারা অমানবিক আচরণ করেছিল। শেখ রাসেল বলেছিল, আমাকে আমার মায়ের কাছে নিয়ে যাও। অথবা আমার হাসু আপার (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) কাছে নিয়ে যাও। কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলকেও বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে শহীদ করে দিলো। শেখ রাসেল দিবস পালনের মাধ্যমে আমরা নতুন প্রজন্ম জানান দিতে চাই, বাংলাদেশে যাতে ওই নারকীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাশেদা আক্তারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার), পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, বিশিষ্ট ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগিতায় শেখ রাসেল দিবস উদ্যাপন করা হয়।