শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০

কচুয়ায় মালটা চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন মিজানুর রহমান
মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ॥

কচুয়ায় মালটা চাষ করে ভাগ্য বদলের চেষ্টায় মাল্টা গাছের পরিচর্যা করছেন প্রবাস ফেরত মিজানুর রহমান। তিনি উপজেলার গোহট ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন সৌদি আরবে কর্মজীবন শেষে দেশে এসে ২০০৭ সালে ১১ লাখ টাকা ব্যয় করে ১৮টি দেশী-বিদেশী জাতের গরু নিয়ে খামার গড়ে তোলেন। দুধ বিক্রি করে সংসার চালিয়েছেন কয়েক বছর। একসময় আয় কমে আসে। বিপাকে পড়েন তিনি। দীর্ঘদিন গাধা খাটুনি করে লাভের মুখ দেখে উঠতে পারেন নি গরুর বিভিন্ন জটিল রোগের কারণে। এক সময় তা বন্ধ করে দেন। এখন গরুর খামারে ২টি দেশী জাতের গরু পালন করছেন পরিবারের দুধের চাহিদা মিটানোর জন্যে। শুরু হয় দুঃশ্চিন্তা। কী করবেন- এ ভাবনা পেয়ে বসে তাকে। শুরু হয় ইন্টারনেট-ইউটিউবে ঘাঁটাঘাঁটি। সব দেখে সিদ্ধান্ত নেন সবজি ও মালটা চাষের।

সরজমিনে গেলে কথা হয় মিজানুর রহমানের সাথে। তিনি জানান, প্রবাসে থাকাকালীন ‘চ্যানেল আই’ ও ইউটিউবে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন জাতের ফলফলাদির চাষ দেখেছি। দেশে এসে যখন গরুর খামার করে লাভবান হতে পারিনি তখন সিদ্ধান্ত নেই আমার ৫৪ শতক জমিতে শাক-সবজি চাষের। পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজী প্রোগ্রাম (এনএটিপি-০২) প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ১৬ আগস্ট ১ বিঘা পতিত জমিতে ১৬০টি (বারিজাত ০১) মালটা গাছের চারা (কলম চারা) রোপণ করি। প্রতিটি গাছ ১০ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়েছে। গাছের ফাঁকের সারি গুলোতে হলদি, আদা, পেঁয়াজ ও বিভিন্ন সবজির চাষ করছি। বাগানের সীমানায় শতাধিক সুপারির গাছ লাগিয়েছি। যা দিয়ে আমার পরিবারের চাহিদা মিটিয়েও স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারছি। মালটা গাছগুলোতে এখন ফল দেয়ার সময় হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তারা সব সময় খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। কখন কোন্ সার দিতে হবে, কোন্ ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে তা রীতিমত তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন ।

এছাড়া মিজানুর রহমানের বসত বাড়ির বাগানে রয়েছে দার্জিলিং ও মেন্ডারিন জাতের ২৪টি কমলা গাছ। গাছগুলোতেও ফুল এসেছে। আরেকটি বাগানে রয়েছে ৫টি (চায়না ৩) জাতের লিচু গাছ, ১২টি ড্রাগন ফল গাছ, ১টি মিষ্টি জলপাই গাছ ও বেশ ক’টি কাঁঠাল গাছসহ বিভিন্ন ফলফলাদি ও ওষুধি গাছ। সব মিলিয়ে প্রবাস ফেরত মিজানুর রহমান এখন যেনো একজন বৃক্ষপ্রেমী হয়ে উঠেছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন শাক-সবজি বিক্রি করে সংসার মোটামুটি চলছে। মালটা, ড্রাগন ও কমলালেবু ধরা শুরু করলে সংসার আরো ভালো চলবে এবং আমার স্বপ্ন পূরণ হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোফায়েল হোসেন বলেন, আমাদের এ এলাকা বারিজাত ০১ জাতের মালটা চাষের জন্যে উপযোগী হওয়ায় পরীক্ষামূলকভাবে ফল বাগানের প্রদর্শনী হিসেবে কৃষক মিজানুর রহমানকে একটি মালটা প্রদর্শনী দেয়া হয়েছে। সফল হলে তার দেখাদেখি অন্য কৃষকরাও মালটা চাষে উদ্বুদ্ধ হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়