প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২১, ০০:০০
কোনো ব্যবস্থাই করোনাকে সামাল দেয়া যাচ্ছে না। সারাদেশের সাথে চাঁদপুরের অবস্থাও একই। বরং চাঁদপুরে শনাক্তের হার সারাদেশের চেয়ে দ্বিগুণ। শনাক্তের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে চাঁদপুর। গতকাল চাঁদপুরে নতুন করে যে পরিমাণ শনাক্ত হয়েছে তাতে দেখা যায় যে, শনাক্তের হার হচ্ছে ৪৭.৭২ শতাংশ। আর সারাদেশে গতকাল শনাক্তের হার ছিল ২৩.৯৭ শতাংশ।
চাঁদপুরে করোনার এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করলেও মানুষের মাঝে এর কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। কোথাও স্বাস্থ্যবিধির লেশমাত্রও নেই। রাস্তাঘাটে মানুষের বিচরণে দেখা যায় যে, নিয়মণ্ডকানুনের কোনো বালাই নেই। গতকাল লকডাউনের দ্বিতীয়দিন রাস্তায় প্রচুর সংখ্যক অটোবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজি অটোরিকশায় একজনের গায়ের সাথে লেগে আরেকজন বসেছে। চালকসহ অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায় নি। বড় বড় দোকান, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট দোকান গতকাল অনেক খুলেছে। রাস্তায় অসংখ্য মানুষের বিচরণ ছিল। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায় নি। কাঁচা বাজার, মাছ বাজার ও মুদি বাজারের কোনো দোকানদারকে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা যায় নি। চাঁদপুর শহরের পালবাজার, নতুনবাজার, বিপণীবাগ বাজারসহ কোনো বাজারেই দোকানদারদের মুখে মাস্ক দেখা যায় নি। গতকাল চাঁদপুরে একেবারেই ঢিলেঢালা লকডাউন দেখা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে দেখা গেছে যে, গতকাল চাঁদপুরে ৮৮ জনের করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৪২ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এ হিসেবে আক্রান্ত হার ৪৭.৭২ শতাংশ। আগেরদিন সোমবার ছিল ২৬.১১ শতাংশ। চাঁদপুরে এর আগে সর্বোচ্চ শনাক্তের হার ছিল ৩২.৩২ শতাংশ। আর গতকাল এই করোনাকালের ১৫ মাসের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে শনাক্তের হার হয়েছে ৪৭.৭২ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত হওয়া ৪২ জনের উপজেলা ভিত্তিক সংখ্যা হচ্ছে : চাঁদপুর সদরে ২৪, হাজীগঞ্জে ১০, ফরিদগঞ্জে ৩, কচুয়ায় ২ ও হাইমচরে ৩ জন। নতুন আক্রান্ত ৪২ জনসহ মোট আক্রান্ত ৫৪০৬ জন। এর মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলায়ই ২৫২৪ জন। মোট আক্রান্ত ৫৪০৬ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৮০৬ জন, মারা গেছেন ১২৬ জন। আর চিকিৎসাধীন আছেন ৪৭৪ জন।