প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২১, ০০:০০
হাজীগঞ্জে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশকে সারাদিন গলদঘর্ম হতে হয়েছে। ২৮ জুন থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউনে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের কঠোর নজরদারিতে বাজার এলাকা থাকলেও বাজারের বাইরে সড়ক মহাসড়কে চলেছে সিএনজি অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ সকল ধরনের পরিবহন। তবে বন্ধ ছিলো যাত্রীবাহী সকল ধরনের বাস। বিশেষ কচুয়া সড়ক হয়ে লক্ষ্মীপুরগামী প্রচুর প্রাইভেটকারকে বোঝাতে গিয়ে পুলিশকে বেগ পেতে হয়েছে। একই দিন মাস্ক না পরার কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
সরজমিনের হাজীগঞ্জের চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়কসহ হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়ক ঘুরে দেখা যায় পুলিশের চেকপোস্ট থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে ফের যাত্রী নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে গিয়েছে সিএনজি অটোরিকশা। বিশেষ করে অটোরিকশাগুলো ছিলো অনেকটাই বেপরোয়া। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাকিলা বাজারের স্কুল গেইটের সামনে ছিলো সিএনজি অটোরিকশার দীর্ঘ লাইন, যাত্রী ছিলো ভরপুর। কৈয়ারপুল, বলাখাল বাজার এলাকায় একই চিত্র দেখা গেছে। হাজীগঞ্জ বাজারসহ বাকিলা বাজার, বলাখাল বাজার মিলিয়ে সকল খাবার হোটেল ছিলো খোলা। লকডাউনের মধ্যে এদিন দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ ব্র্যাক অফিসের সামনে প্রাইভেটকার ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ যাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
লকডাউনকে কার্যকর করতে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের কঠোর অবস্থান ছিলো চোখে লাগার মতো। এদিন ভোর থেকে হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কের সকল মুখে ছিলো পুলিশের চেকপোস্ট। এর মধ্যে হাজীগঞ্জ সেতুর দক্ষিণ মাথায় রামগঞ্জ সড়কে ছিলেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ পিপিএম, হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার মান্নান ফিলিং স্টেশনের সামনে ছিলেন অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ, হাজীগঞ্জ বিশ্বরোড চৌরাস্তা ছিলেন ওসি (তদন্ত) খলিলুল রহমান। হাজীগঞ্জ পৌরসভার সামনে বসানো হয় চেকপোস্ট। এ সময় চেকপোস্টের দায়িত্বে পুলিশ কর্মকর্তাগণসহ সঙ্গীয় ফোর্স সিএনজি অটোরিকশাসহ অন্যসকল গাড়িকে বুঝিয়ে কিংবা ঘুরিয়ে দিতে দিনভার গলদঘর্ম হতে হয়েছে। পুলিশের জন্য যা ছিলো রীতিমতো কষ্টকর আর পীড়াদায়ক। বিশেষ করে গৌরিপুর-কচুয়া, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়ক হয়ে ঢাকা থেকে রামগঞ্জমুখী প্রচুর প্রাইভেট কার চলাচল সামলানো ছিলো পুলিশের জন্য বিরাট সমস্যা। এতোসব ডিঙ্গিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারে মানুষের আনাগোনা একেবারে কম হয়নি। এর মধ্যে ৩০/৩৫ ভাগ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করেনি।
এদিকে একই দিন দুপুরে বিশ্বরোড চৌরাস্তায় সরাসরি লকডাউন কার্যকর করতে সরজমিনে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার। এরপরই তিনি মাস্কহীনদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করেন। আদালত এ সময় মাস্ক না পরার দায়ে ৬ জনকে ২৫শ’ টাকা জরিমানা করেন।
এর পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আকতার হাজীগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য ছাড়া কোনো দোকান খোল আছে কিনা তা পরিদর্শন করেন।