শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুরে ১২১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা

জমা হয়নি মাত্র ১টি

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
চাঁদপুরে ১২১টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা

চাঁদপুর জেলায় লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমাদানের শেষ সময় পর্যন্ত ১২২টির মধ্যে জমা হয়েছে ১২১টি। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি গণপিটুনিতে নিহত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খানের সাথে থাকা পিস্তল। এটি উদ্ধার হলে চাঁদপুর জেলায় লাইসেন্সকৃত শতভাগ অস্ত্র জমা হবে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. মনিরুল ইসলাম।

লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দানের শেষ সময় পার হয়েছে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাত ১২টায়। নির্ধারিত সময় রাত ১২টা পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের তথ্য মতে, চাঁদপুর জেলায় ১২২টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে জমা হয় ১২১টি অস্ত্র।

পুলিশ জানায়, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র জেলার থানাগুলোতে জমা হয়। এছাড়াও থানা ইউনিটে, ব্যাংকের নিরাপত্তা দায়িত্বে কর্মরত ও সেনা কর্মকর্তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র জমা হয়েছে।

সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত যত ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়, সরকার তা স্থগিত করেছে। এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ জেলার থানায় জমা দিতে বলা হয় লাইসেন্স প্রাপ্তদের।

জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)-এর আলোচিত চেয়ারম্যান সেলিম খানের খোয়া যাওয়া শটগান উদ্ধার হলেও পিস্তলটির সন্ধান এখনো মিলেনি। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা সেলিম খান ও তার বড়ো ছেলে চিত্রনায়ক শান্ত খানকে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ সময় সেলিম খানের লাইসেন্সকৃত একটি পিস্তল ও একটি শটগান সাথে ছিল। পরে চাঁদপুর সদরের বাগাদি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য আহসান তালুকদার শটগানটি পেয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে এখনো পিস্তলটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন রনি বলেন, আমি গত ১ সেপ্টেম্বর এই থানায় যোগদান করি। সেলিম খানের পিস্তল খোয়া যাওয়ার বিষয়টি অভিযোগ আকারে জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়। এর একদিন আগে মঙ্গলবারই শেষ হয় সব ধরনের অস্ত্র জমা দেয়ার সময়সীমা। এর মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুটপাট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে বৈধ অস্ত্রও।

গত ১৫ বছরে বেসামরিক জনগণকে দেয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করেছে সরকার। মঙ্গলবারের মধ্যে গোলাবারুদসহ এসব আগ্নেয়াস্ত্র সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হামলা করে লুটপাট করা হয়। লুণ্ঠিত ওই সমস্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেয়ার শেষ সময় ছিলো মঙ্গলবার। তবে চাঁদপুরে কোনো থানা বা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটেনি। একমাত্র নিহত সেলিম চেয়ারম্যানের লাইসেন্সকৃত পিস্তলটির সন্ধান মিলেনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়