প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
যারা আমাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে তারা কেউই আমার ছাত্র না
'বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করে স্কুলটাতে গতি এনেছি। স্কুল প্রতিষ্ঠালগ্নে শ্রমিকের মতো স্কুলের কাজ করেছি। শ্রম ও ঘামে প্রতিষ্ঠিত সেই স্কুলে আজ হাতুড়িপেটা করে জোরপূর্বক পদত্যাগ করিয়ে স্কুল থেকে বের করে দিবে এমনটা আমি জীবনেও ভাবিনি। তবে আমাকে হাতুড়িপেটা করেছে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক। যাদেরকে স্থানীয় ভদ্রলোকরা কিছু বলার সাহস পায় না। মূলত আমি পরিস্থিতির শিকার'।
কান্না করতে করতে এমনটাই জানালেন মতলব উত্তর উপজেলার ৩০ হাজার জনবসতির চরাঞ্চলে নির্মিত একমাত্র উচ্চ বিদ্যালয় আলী আহম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইব্রাহীম খলিল।
২৫ আগস্ট রোববার দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে স্থানীয় কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক উপজেলার আলী আহম্মদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে হাতুড়িপেটা করে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে।
প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, যারা আমাকে হাতুড়িপেটা করেছে তারা স্থানীয় উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে ছেলে। তাদের নাম বলতে গেলে যেকোনো সময় আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। প্রশাসন কতক্ষণ আমাকে পাহারা দেবে বলেন।
স্থানীয় এখলাছপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, কারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। প্রমাণ পেলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।
স্থানীয় শিক্ষা সচেতন কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, স্কুল পরিচালনা কমিটি নিয়ে রয়েছে গ্রুপিং, দলাদলি, ক্ষোভ। হয়ত সেই ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশটা ঘটে গেলো প্রধান শিক্ষকের ওপর দিয়ে। যা ঘটেছে তা সত্যিই দুঃখজনক।
এ প্রসঙ্গে কথা হলে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমা বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক এবং কারোরই আইন হাতে তুলে নেয়া উচিত না।