প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
জেলা বিএনপির সভাপতির বাসভবনে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ
ডাঃ দীপু মনি ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে নাশকতার মদদে মামলা
আওয়ামী লীগের ক্ষমতাধর মন্ত্রীদের অন্যতম ডা. দীপু মনি এবং তার বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুসহ ৩৮২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ১২০০ জনকে আসামী দেখিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ আগস্ট বুধবার মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম।
মামলাটির বাদী হচ্ছেন চাঁদপুর শহরের মেথা রোডস্থ মুনিরা ভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার, পৌর ৮নং ওয়ার্ডস্থ কোড়ালিয়ার সামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মোঃ সেলিম মিয়া (৪৫)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ডা. দীপু মনি, তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি টিপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটোয়ারী দুলাল, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর সুমনের হুকুমে ও মদদে গেলো ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টায় তাদের শত শত নেতা-কর্মী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ মুনিরা ভবনে হামলা, মালামাল লুটপাট, ভাংচুর ও ভবনে অগ্নিসংযোগ করে। ওই মুনিরা ভবনের মালিক জেলা বিএনপি’র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তখন চিকিৎসার জন্যে দেশের বাইরে ছিলেন। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে। তাই ন্যায় বিচার পেতেই থানায় মামলাটি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে দেখা যায়, যাদের নাম মামলার তালিকায় উঠেছে, এরা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান ও সাবেক নেতা। এসব নামের অধিকাংশই চাঁদপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার আওতাধীন আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মী।
এদিকে মামলা প্রসঙ্গে ভুক্তভোগী জেলা বিএনপি’র সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, আমি কখনো কারো সাথে অমানবিক আচরণ করিনি। অথচ শুধুমাত্র রাজনীতির কারণে প্রতিহিংসা বশত আমার বাড়ির ওপর এই অঘটনটি দেখতে হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।
এদিকে মামলার বিবাদীদের সবাই আত্মগোপনে থাকায় তাদের সাথে যোগাযোগ করে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মোঃ শেখ মুহসীন আলম বলেন, মামলাটিতে আইনী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। একই সাথে নিরপরাধ কেউ যাতে হয়রানি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হবে।