শুক্রবার, ০১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৭

শিল্পকলা একাডেমিতে নেই নৈশ প্রহরী!

অনলাইন ডেস্ক
শিল্পকলা একাডেমিতে নেই নৈশ প্রহরী!

চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে রাতের আঁধারে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি গত ২৮ অক্টোবর দিবাগত রাতে ঘটে। চোরের দল শিল্পকলা একাডেমির পেছনের গেইটের নিচ দিয়ে প্রবেশ করে ২দিনে ১৮টি সিলিং ফ্যান, ২টি এসির মূল্যবান যন্ত্রাংশসহ বিভিন্ন মালামাল চুরি করে নেয়। এ ঘটনায় কমিউনিটি পুলিশ অঞ্চল-৪-এর টহল সদস্যরা ২ চোরকে মালামালসহ আটক করে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাহার মিয়া জানান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির পক্ষে একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টায় শহরের রেলওয়ে কোর্ট স্টেশন এলাকা থেকে কমিউনিটি পুলিশিং চাঁদপুর অঞ্চল-৪-এর টহল সদস্যদের কমান্ডার শহীদ গাজী, টহল সদস্য সোহেল মিজি, রহিম বেপারী ও জাকির হোসেন চোরদের আটক করেন। তাদের সহায়তা করেন মোঃ সেলিম গাজী ও চাঁদপুর মেডিকেলের নৈশ প্রহরী মোঃ শাহিন মিয়া। চুরি করা মালামাল চাঁদপুর শহরের বকুলতলা রেললাইনের পাশে ভাঙ্গারি দোকানদার কানুর কাছে মাত্র ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে চোর।

দেশের বিভিন্ন স্থানে জেলা/উপজেলা পর্যায়ের শিল্পকলা একাডেমি যতোটা সুন্দর, চাঁদপুরে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটা নয়। শহরের প্রাণকেন্দ্রে সুবিধাজনক স্থানে শিল্পকলার অবস্থানই কেবল স্বস্তির, আর অন্য অনেক কিছুই স্বস্তির নয়। সর্বশেষ গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তীতে সুযোগসন্ধানী কিছু লোক শিল্পকলায় যে ধ্বংসযজ্ঞ ও লুটপাট চালিয়েছে, তাতে মাথার ওপরের ফ্যান ও এসি কারো সহৃদয়তায় (!) রক্ষা পেয়েছিল। অবশেষে সেগুলোও চোর চুরি করে নিয়ে গেছে, যদিও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের নৈশকালীন টহল সদস্যদের হাতে চোর কিছু মালামাল সহ ধরা পড়েছে। এই চুরিটাও রোধ করা যেতো, যদি শিল্পকলায় নৈশ প্রহরী থাকতো। কথা হলো, নৈশ প্রহরী নেই কেন? অবশ্য শিল্পকলায় জনবল খাতে আরো অনেক কিছুই নেই। কেন্দ্রীয় শিল্পকলার চাঁদপুর শিল্পকলার প্রতি এতোটা বিরাগ হবার কারণটা কী সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নূতন বাংলাদেশে সংস্কারের আবহে চাঁদপুর জেলা শিল্পকলায় এমন কিছু হোক, যা জেলাবাসী বিশেষ করে সংস্কৃতিপ্রেমীদের বহুল প্রত্যাশিত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়