শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

জেলেদের চাল আত্মসাৎ : কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
জেলেদের চাল আত্মসাৎ : কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের প্রতিবেদন

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলেদের বরাদ্দকৃত ৬.৭২ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে দুদক চাঁদপুর।

১৫ জুলাই সোমবার সকালে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় চাঁদপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ কোরবান আলী।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে প্রথমে থানায় অভিযোগ হয়। ওই অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিষয়টি দুদক সংশ্লিষ্ট হওয়ার কারণে দুদক চাঁদপুর কার্যালয়ে পাঠানো হয়। দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট মামলা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্যে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে আমি তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করি। এতে দেখা যায়, ওই ইউনিয়নের গুদামে সংরক্ষিত জেলেদের চাল প্রথমে ৪.১ মেট্রিক টন কম পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে সকল কাগজপত্র দেখে চূড়ান্তভাবে ৬.৭২ মেট্রিক টন চাল কম পাওয়া যায়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ৩০ জুন তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করি।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ মে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী জেলা খাদ্য গুদাম থেকে জেলেদের চাল উত্তোলন করেন। পরদিন ১৮ মে ওই চাল বিতরণের জন্যে গেলে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ও ট্যাগ অফিসার সুমন কুমার দাস গোডাউনে থাকা চাল প্রাথমিকভাবে ওজন করে ৪.১ মেট্রিক টন কম পান। জেলেদের জন্যে বরাদ্দকৃত চালের পরিমাণ ছিলো ৫৩.৬৮ মেট্রিক টন। বিষয়টি তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়। ইউএনও ওই চালের গোডাউন সীলগালা করে দিতে বলেন এবং সেমতে গোডাউনটি সীলগালা করা হয়।

এ বিষয়ে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ঘটনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগটি মামলায় রূপান্তরিত হলে পুলিশ আদালতে পাঠায়। আদালত এই মামলাটি দুদকে তদন্ত করার জন্যে প্রেরণ করেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার পরে আদালতের নির্দেশক্রমে সীলগালা অবস্থায় থাকা গোডাউন খুলে ওই চাল জেলেদের মাঝে বিতরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়