শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুরে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি

নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি সাংবিধানিক অধিকার

স্টাফ রিপোর্টার ॥
নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তি সাংবিধানিক অধিকার

জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, চাঁদপুর-এর আয়োজনে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ‘নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক’ জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) বেলা সাড়ে ১২টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন আর কেউ না খেয়ে থাকে না। এই অবস্থার তৈরি হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সুন্দর, সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণভাবে দেশ পরিচালনার কারণে। এজন্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এখন আমাদের সময় এসেছে আমরা কী খাচ্ছি তা নিয়ে অনেক বেশি সচেতন হওয়া।

দীপু মনি আরো বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো একটি সুখী, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে লক্ষ্যেই নিরলস কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশের আপামর মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেজাল ও দূষণমুক্ত নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতকরণে পাস করেছেন নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩। এছাড়া ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ দেশব্যাপী নিরাপদ খাদ্য, ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণে প্রশিক্ষণ ও জনসচেনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিকরণে অন্যান্য কাজ করছে। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়ে আমাদেরকে বেশি বেশি সচেতন ও সতর্ক থাকতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার) ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল।

আলোচনার মূল বিষয়ের উপর সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর জেলা কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফুল হাসান। এ সময় তিনি নিরাপদ খাদ্যের বিভিন্ন দিক এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গৃহিত জনসচেতনতার পরিকল্পনা ও কার্যক্রম তুলে ধরেন।

উন্মুক্ত আলোচনায় জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নূর হোসেন পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ হুমায়ুন কবির সুমন, মন্ত্রীর স্থানীয় প্রতিনিধি পৌর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ সাইফুদ্দিন বাবু, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান দর্জি, হাইমচরের গাজীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজ, ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান কাশেম খান, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত, পিপি অ্যাডঃ রণজিত রায় চৌধুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাসান ইমাম বাদশা, জেলা ক্রীড়া অফিসার তরিকুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নূরুল হায়দার সংগ্রাম, পৌর প্যানেল মেয়র অ্যাডঃ হেলাল হোসাইন, মহিলা কাউন্সিলর ফেরদৌসী আক্তার, কাউন্সিলর চাঁন মিয়া মাঝি, সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, হাইমচর উত্তর আলগী ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান পাটওয়ারী, নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সউদ আল নাছের, হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার রাঢ়ি, রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী, জেলা কৃষকলীগের আহ্বায়ক আঃ আজিজ খান বাদল, সদস্য সচিব আঃ হান্নান সবুজ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অনেকে। এছাড়া অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকবৃন্দ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভাপ্রধানের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। কিন্তু আমাদের একটি অভাব রয়েই গেছে। সেটি হলো নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার। নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি বর্তমানে বেশ আলোচিত। নানাভাবে খাদ্যে ভেজাল ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ এ খাবার গ্রহণ করছে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সর্বস্তরের তথা তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক গণসচেতনতা বাড়ানো অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ মানুষ নিরাপদ খাবার খেয়ে বেশি দিন বাঁচতে চায়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়