হাজীগঞ্জে এক ঘন্টায় কুকুরে কামড়িয়েছে ১০ জনকে

প্রায় এক ঘন্টা ধরে দৌড়ে দৌড়ে শিশু, নারী বৃদ্ধসহ ১০জনকে কামড়িয়ে আহত করেছে একটি কুকুর। আহতদের সবাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে রেফার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জ পৌরসভার ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডের টোরাগড় এলাকায়।

আহতরা হলেন : টোরাগড় গ্রামের শুকুর আলমের স্ত্রী কাজল (৪০), নবি হোসেনের মেয়ে নুসরাত (১০), খোকনের ছেলে ফাহিম (১৬), রাকিবের মেয়ে নুরজাহান (৫), জাকারিয়ার ছেলে সাইফুল (৩৫), সুমনের ছেলে শিহাব (১৩), জাকিরের ছেলে আব্দুর রহমান (৪), মৃত সিরাজের স্ত্রী রেজিয়া (৭০), মৃত কালু মিয়ার ছেলে বাচ্চু মজুমদার (৬০) ও মিজানের ছেলে মেহরাজ (৬)। তবে পরে কুকুরটি খুঁজে পায়নি স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মী হাবিব উল্যাহ জানান, এদিন সকালে একটি কুকুর দৌড়ে এসে যাকেই সামনে পেয়েছে, এমনকি বসতঘরে প্রবেশ করেও কামড়ে দিয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৮জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। কুকুরের কামড়ে বহু জন আহত হওয়ার খবরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

আহত বয়োবৃদ্ধ বাচ্চু মজুমদার জানান, হঠাৎ করে একটি কুকুর দৌড়ে এসে আমাকে কামড়ে দেয়। পরে লাথি দিয়ে পা ছাড়িয়ে আমি দ্রুত হাসপাতালে যাই।

কাজল নামের অপর এক আহত নারী বলেন, আমি রান্না ঘরে কাজ করছিলাম। এমন সময় কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কুকুরটি এসে আমাকে কামড়াতে থাকে। তখন আমি ডাক-চিৎকার দিয়ে অচেতন হয়ে পড়ি। পরে বাড়ির লোকজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা নঈম জানান, কুকুরের কামড়ে আহতদের হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেয়াসহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আহত সবাইকে একটি করে জলাতঙ্ক প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে এবং প্রথম ডোজের ৩দিন পর দ্বিতীয় ডোজ, ৭দিন পর তৃতীয় ডোজ এভাবে ৫টি ডোজ (প্রতিষেধক ইনজেকশন) নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।