প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০
নামকাওয়াস্তে ফরিদগঞ্জের ৫ সেতু সংস্কার
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ফরিদগঞ্জে ৫টি সেতুর সংস্কার কাজ নামকাওয়াস্তে করার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ ৬ মাস পূর্বেই কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভরা বর্ষায় তাদের কাজ করছে। ফলে বৃষ্টির পানিতে ঢালাই করা স্থানগুলোতেই কাজের প্রকৃত চিত্র ভেসে উঠেছে। এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো মেরামত করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে সেতুর সংস্কার শেষে লাগানো পাথর খণ্ডে লেখা রয়েছে কাজের চুক্তিমূল্য ৫ কোটি টাকা। যদিও প্রকৃত চুক্তিমূল্য ৫ লাখ টাকা। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দ্বিধা কাটেনি।
জানা গেছে, প্রায় সাড়ে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে SupRB/Chab/Maint/22-23/W-570 প্যাকেজের আওয়তায় ৫টি সেতুর বড় ধরনের সংস্কার কাজ দায়িত্ব প্রায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অবণী ট্রেডাস। সেই ৫টি সেতুর একটি হলো উপজেলার কালিরবাজার জিসি-ফিরোজপুর (রামপুর জিসি) সড়কের চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের বেড়িবাজার সেতু। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৫ লক্ষ ১ হাজার ৫০২ টাকা ব্যয়ে সেতুর বড় ধরনের কাজ সম্পন্ন করেছে।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, সেতুটির কাজের মেয়াদ ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর শেষ হয়ে গেলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কয়েকদিন পূর্বে তড়িঘড়ি করে নামকাওয়াস্তে কাজ করেছে। কাজ শেষে সেতুতে লাগানো নামফলকে লেখা তথ্য অনুযায়ী ৫ কোটি টাকার কাজ এটি। যা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এটি ৫ লাখ টাকার কাজ। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সেতুটির রেলিংয়ের আস্তরণ শেষে রং করেছে। এছাড়া সেতুটির উপর ৩৫ বস্তা সিমেন্ট দিয়ে নামমাত্র বৃষ্টির মধ্যে ঢালাই দিয়ে কাজ শেষ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন, কলমতর গাজী, আঃ রশিদ, হেলাল, মহসিন জানান, সেতুটির সংস্কারে সরকার এত টাকা দিলেও ঠিকাদার শুধু রেলিংয়ের আস্তরণ করে সাদা রং দিয়েছে বৃষ্টির দিনে এবং সেতুর উপরিভাগে নামকাওয়াস্তে ঢালাই দিয়ে কাজ শেষ করেছে। এছাড়া কোনো কাজই করেননি ঠিকাদার। এরকম অনিয়ম মেনে নেয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এ অবস্থা।
মেসার্স অবণি ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী এস এম আল মামুন সুমন জানান, নিয়মানুযায়ী সেতুর উপরের নিচের কাজ করেছি। বিস্তারিত জানতে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের যোগাযোগের জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের এসও মামুন হোসেন জানান, কতটুকু কাজ হয়েছে তিনি জানেন না। ঢালাইয়ের দিন উপস্থিত থাকার থাকলেও তিনি অনিবার্য কারণে থাকতে পারেননি। এই প্যাকেজে বালিথুবা, লতিফগঞ্জ সেতু, বেইলী ব্রীজসহ মোট ৫টি সেতুর সংস্কার কাজ রয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী আববার আহমেদ জানান, অনিয়মের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। সেতুটির রেলিংয়ের আস্তরণ, সেতুর উপর প্যাডস্টেন ঢালাই ছাড়াও সেতুর নিচের দিকে মেরামতের কাজ রয়েছে।