প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর মেঘনা উপকূলে একের পর এক দেখা মিলছে রাসেলস্ ভাইপার
এবারই প্রথম নয়, গত কয়েক বছর চাঁদপুরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকায় বেশ কয়েকটি রাসেলস্ ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলেছে। সর্বশেষ দেখা মিলে শহরের পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায়।
২৮ জুন শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে হরিসভা মেঘনা নদীর পাড়ে শহর সংরক্ষণ বাঁধে কাজ করা শ্রমিকরা বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলতে গিয়ে রাসেলস্ ভাইপারের দেখা পায়। তবে এখন পর্যন্ত মেঘনা উপকূল ছাড়া জেলার সমতল এলাকায় এই সাপের দেখা মিলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক বলেন, শ্রমিকরা রাসেলস্ ভাইপার সাপ দেখলে ডাক-চিৎকার দেয়। এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন বয়সী লোকজন ছুটে আসে। এরপর সাপটিকে কারেন্টজাল দিয়ে মুড়িয়ে এবং পিটিয়ে মেরে ফেলে কিশোর ও যুবকরা। পরে মেঘনা নদীতে ফেলে দেয়।
গত কয়েক বছর মেঘনা উপকূলীয় এলাকা চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোড, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় এই রাসেলস্ ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) নামক সাপের দেখা মিলে। এসব সাপের মধ্যে শহরের কোড়ালিয়া রোডে ধরা পড়া রাসেলস্ ভাইপার সাপটি বন বিভাগ নিয়ে যায়। বাকি অন্য স্থানে ধরা পড়া সাপগুলো স্থানীয়রা পিটিয়ে মেরে পেলে।
চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাখাওয়াত হোসেন বিষধর রাসেলস্ ভাইপার সাপের কামড় প্রসঙ্গে জনসচেতনতার জন্য বলেন, যেকোনো বিষধর সাপে কামড়ালে কোনো ওঝার কাছে না নিয়ে, সময় নষ্ট না করে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে। কামড়ের সাথে সাথে যতটা দ্রুত হাসপাতালে আনা যায়, ততটাই ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, সাপে কামড়ে সাথে সাথে কামড়ের উপরের স্থানে কোনো রশি দিয়ে বাঁধা যাবে না। সেখানে গামছা বা ওড়নাসহ সুতি জাতীয় কাপড় দিয়ে হালকা করে বাঁধতে হবে।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, যে কোনো বিষাক্ত সাপে কামড়ালে বিষ প্রতিষেধকের একই এ্যান্টিভেনম ভ্যাকসিন দেয়া হয়। আমাদের হাসপাতালে ১৩০টি এ্যান্টিভেনম মজুদ রয়েছে। এর পাশাপাশি আরো ২০০ চাহিদার কথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। খুব শিগগিরই সে চাহিদার ভ্যাকসিন আনতে হাসপাতাল থেকে লোক পাঠানো হবে।