চাল জব্দ কাণ্ডে ফেঁসে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু!

৩০ কেজি বস্তাপ্রতি সরকারি ৮৩ বস্তা চাল জব্দের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ আরো দু’ জন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও ) দায়ের করা মামলায় এ ৪জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করবে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনাটি গত ২৪ জুন (সোমবার) দিবাগত রাতের। আসামীরা হলেন ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের ৪বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু, ইউপি সদস্য আমির হোসেন, স্থানীয় কালু মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম। মূলত কালু ও জাহাঙ্গীরের বসতঘর থেকেই চালের বস্তাগুলো জব্দ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ) রিফাত জাহান।

চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু জানান, আমি যা বলার আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য আইনশৃঙ্খলা সভায় সবার সামনে বলে আমার অবস্থান পরিষ্কার করবো।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ও মামলার বাদী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, চাল জব্দের ঘটনায় গত ২৫ জুন মঙ্গলবার হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু, ইউপি সদস্য আমির হোসেনসহ ৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। চালগুলো ঠিক কোন্ প্রকল্পের এমন বিষয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত কাজ শেষ হলে বলা যাবে।

এ ঘটনায় চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন বাচ্চুসহ ৪ জনকে আসামী করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল জানান, আমরা মামলা করেছি, তদন্ত চলছে, দেখি তদন্তে কী আসে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২৪ জুন) দিবাগত রাতে ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দেশগাঁও গ্রামের মাইজের বাড়ি ও আটিয়া বাড়ি থেকে ৮৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীলের নির্দেশনায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান হাজীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌঃ মোঃ জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মাইজের বাড়ি ও আটিয়া বাড়িতে অভিযান চালান। অভিযানকালে মমিনের বসতঘর থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের সিল-সম্বলিত ২২ বস্তা ও জাহাঙ্গীর আলমের বসতঘর থেকে ৬১ বস্তাসহ মোট ৮৩ বস্তা সরকারি চাল জব্দ করেন। প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে মোট ২ হাজার ৮৯০ কেজি চাল রয়েছে। একই সময়ে মমিনের বসতঘর থেকে ৮টি খালি বস্তাও জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে ও মমিনের জামাতাকে আটক করে তাৎক্ষণিক থানায় নিয়ে আসে। তবে এদেরকে পরে ছেড়ে দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, জব্দকৃত চাল প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঈদ উপহারের জিআর প্রকল্পের।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) মোঃ আব্দুল হালিম জানান, বিষয়টি দেখার জন্যে হাজীগঞ্জ থানার একজন এসআই ও উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা গোডাউনে চালের বস্তাগুলো মিলিয়েছেন।