প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
বাবুরহাট-মতলব রোডে ভয়াবহ নৈরাজ্য
গাড়ি প্রতি ২০ টাকার পরিবর্তে যাত্রী প্রতি ১০০ টাকা আদায় করেন ইজারাদার
চাঁদপুর পৌরসভার ১৪নং ওয়ার্ডের বাবুরহাট-মতলব রোডে যত্রতত্র পার্কিংয়ের কারণে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যততত্র পার্কিং, ফুটপাত দখল, রাস্তার উপর সিএনজি ও অটোস্ট্যান্ড, নির্দিষ্ট বাস স্ট্যান্ড না থাকা, এলোপাতাড়ি যাত্রী ওঠানামা, যাত্রী ছাউনি নোংরাসহ নানা অব্যবস্থাপনার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রতিদিনই বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন সড়ক দিয়ে চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষ।
বাবুরহাট-মতলব রোড দিয়ে রাজধানী ঢাকার সাথে যোগাযোগ সহজ হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে কয়েকটি জেলার মানুষ চলাচল করে। জেলাগুলো হচ্ছে : চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ভোলা। এসব জেলার মানুষ কম সময়ে ঢাকার সাথে যোগাযোগের জন্যে এই সড়কটি ব্যবহার করেন। ফলে দিন দিন সড়কটির গুরুত্ব বেড়ে চলেছে। সড়কে দিন দিন বাড়ছে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা। বাবুরহাট-মতলব রোডে নানা অব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ।
গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাবুরহাট-মতলব রোডের উভয় পাশে সিএনজি অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না। স্ট্যান্ডে থাকা ড্রাইভার ও দালালদের কারণে লাঞ্ছিত হচ্ছে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ড্রাইভার ও যাত্রীরা। এছাড়া নামে মাত্র বাবুরহাট যাত্রী ছাউনির সামনে সিএনজি অটোরিকশা ও অটোবাইক দাঁড় করিয়ে রাখায় বাস থামানো সম্ভব হচ্ছে না। যত্রতত্রভাবে বাস থামানোর কারণে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। যাত্রী ছাউনিতে নোংরা পরিবেশ থাকায় সেটি যাত্রীদের বসার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
বাবুরহাট-মতলব রোডে প্রাইভেট কার স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে। প্রাইভেটকারগুলো যততত্রভাবে পার্কিং ও যাত্রী ওঠানামার কারণেও যানজটের সৃষ্টি হয়। বাবুরহাট-মতলব রোডের যানজটসহ অব্যবস্থাপনার জন্যে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ স্থানীয় কয়েকজনকে দায়ী করেন। অপরদিকে এ স্থান থেকে একজন যাত্রী প্রাইভেটকারে করে ঢাকা গেলে জনপ্রতি ইজারাদারকে ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা করে দিতে হয়। ফলে চালকরাও যাত্রীদের নিকট হতে ৫শ’ থেকে ৮শ’ টাকা আদায় করছে। একজন যাত্রী ঢাকা গেলে যে টাকা দিতে হয় পথিমধ্যে নামলেও সেই টাকা দিতে হয়। ইজারাদার গাড়িপ্রতি টাকা না নিয়ে জনপ্রতি টাকা নেয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, পৌরসভা থেকে গাড়ি প্রতি ২০ টাকা আদায়ের নির্দেশনা থাকলেও মানছে না ইজারাদার। সচেতন মানুষ বলেন সড়কের উপরে থাকা অটোস্ট্যান্ড ও সিএনজি স্ট্যান্ড উঠিয়ে দিলে যানজটের সৃষ্টি হবে না। আর ফুটপাতে দোকান বসিয়ে তাদের নিকট থেকে মাসে বড় ধরনের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। সেটি বন্ধ করা দরকার।
বাবুরহাট-মতলব রোডের যানজট সমস্যা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করাসহ সকল সমস্যা সমাধানে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌরসভার মেয়রের দৃষ্টি কামনা করেন স্থানীয়রা।