বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৪, ০০:০০

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার পুরস্কার’ পেলো চাঁদপুরের মেহেরিন আহমেদ রোজা

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ

অনলাইন ডেস্ক
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার পুরস্কার’ পেলো চাঁদপুরের মেহেরিন আহমেদ রোজা

চাঁদপুরের মেহেরিন আহমেদ রোজা ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার’ পুরস্কার পেয়েছেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সারাদেশ থেকে ১৫টি বিভাগে ২১ জন শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ দেয়া হয়। সেই ২১ শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছিলেন মেহেরিন আহমেদ রোজা। গত ২৪ জুন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন রোজা।

মেহেরিন আহমেদ রোজার পরিবার চাঁদপুর শহরের বাসিন্দা। তার বাবা মোঃ ফারুক আহমেদ চাঁদপুর কৃষি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মা আইরিন পারভীন গৃহিণী।

জানা যায়, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার’ নির্বাচনের জন্য আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থায় ৩ (তিন) পর্যায়ের মূল্যায়নের নির্ধারিত মোট নম্বর ১০০। এই ১০০ নম্বরের মধ্যে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর স্নাতক/সমমান পরীক্ষার ফলাফলের জন্য নির্ধারিত ৭০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর, এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসের জন্য বাছাই কমিটি কর্তৃক ১৫ নম্বরের মধ্যে প্রদত্ত নম্বর এবং মৌখিক সাক্ষাৎকারের জন্য ১৫ নম্বরের মধ্যে অ্যাওয়ার্ড কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত নম্বর যোগ করে প্রতিটি অধিক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত (৬টি অধিক্ষেত্রে মেধাক্রমে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১ম ও ২য় জন এবং অপর ১০টি অধিক্ষেত্রে ১ম জন) শিক্ষার্থীকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার’ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের জন্য নির্বাচন করা হয়।

যে সব মানদ-ের ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার’ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়, এর মধ্যে একাডেমিক ফলাফল বেশ বড় একটা নম্বর বহন করে। মেহেরিন আহমেদ রোজা ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিজিপিএ-৪ পেয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে। এর আগে ২০২২ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতক পর্যায়েও সিজিপিএ-৩.৯৪ পেয়ে তিনি প্রথম হন। স্নাতক পর্যায়ে প্রতিটি সেমিস্টারেই প্রথম স্থান অধিকার করে মেরিট স্কলারশিপসহ তিনি ডিন’স লেটার অব অ্যাপ্রিসিয়েশন পেয়েছেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকেও তার জিপিএ-৫ ছিলো। তার কলেজ ছিলো ঢাকার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এবং স্কুল ছিলো মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর।

মেহেরিন আহমেদ রোজা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ হবার পরপরই ‘জাতীয় ইন্টার্নশিপ নীতিমালা ২০২৩’ অনুযায়ী তিনি জনপ্রাশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ১০জন ইন্টার্নের মধ্যে প্রথমস্থান অর্জন করে নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি তারই বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের ৩১তম পাবলিক ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) তে প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন।

গবেষণায় বিপুল আগ্রহী মেহেরিন আহমেদ রোজা ‘জাতীয় গবেষণা প্রকল্প প্রতিযোগিতা-২০২৩’-এর চ্যাম্পিয়ন এবং তার রয়েছে দু’টি ভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত ২টি গবেষণা প্রবন্ধ। শিক্ষাজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিসে ও সমাজসেবামূলক কাজে তার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। তিনি ছিলেন তার ইউনিভার্সিটি ক্লাব ‘বিইউপি গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিল’ এর প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট। ছায়া জাতিসংঘ, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, পলিসি প্রতিযোগিতা, কেস কম্পিটিশনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রিসার্চ কনফারেন্স এ তিনি দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তাছাড়া ২০১৯ সালে তার আঁকা ৪টি ছবি প্রদর্শনের জন্যে নির্বাচিত হয় ‘স্ফুরণ ২.০’ নামক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আর্ট ও ফটোগ্রাফি প্রদর্শনীতে। ২০২০ সালে ‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের অংশ হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে তৈরি একটি ডকুমেন্টরিতে ভয়েস ওভার দিয়ে তিনি বিপুল প্রশংসা অর্জন করেন। ভবিষ্যতে শিক্ষকতা পেশা ও গবেষণায় নিযুক্ত থাকতে আগ্রহী মেহেরিন আহমেদ রোজা এর পাশাপাশি হতে চান একজন লেখক। কারণ, তিনি বিশ্বাস করেন লেখনীর মাধ্যমে স্থান ও সময় ভেদেও মানুষকে অনুপ্রাণিত করা যায়। তাই তিনি চান তার লেখনী ও প্রকাশনা যেনো দেশ ও জাতির জীবনে উন্নয়নমূলক অবদান রাখতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়