বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল মিষ্টির প্যাকেটে করে ইয়াবা পাচার

সোহাঈদ খান জিয়া ॥
মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন কৌশল মিষ্টির প্যাকেটে করে ইয়াবা পাচার

‘ইয়াবা মিষ্টি খায়। আমরা করি চোরের ওপর বাটপারী। মিষ্টির প্যাকেটে এখন মাদক পাচার নিরাপদ। এ কৌশলে লঞ্চে বেশি পাচার হয় ইয়াবা, সড়ক পথে কম। প্রশাসন কী করবে?’ এসব কথা অবলীলায় বলে ফেললেন এক মাদক ব্যবসায়ী।

গত ২১ জুন শুক্রবার রাতে চাঁদপুর শহর থেকে সিএনজি অটোরিকশা যোগে বাড়ি যাওয়ার সময় দুমাদক ব্যবসায়ী একে অপরকে এসব কথা বলেন। যেটি ছায়াছবির ডন ও নায়কের অ্যাকশনের কথার ন্যায়। চাঁদপুরের মাদক ব্যবসায়ীরা এখন নতুন কৌশলে মাদক পাচার করে আসছে। এরা চাঁদপুর থেকে মিষ্টির প্যাকেটে করে ইয়াবা পাচার করে আসছে। ২টি কার্টনের মধ্যে উপরের কার্টনে মিষ্টি নেওয়া হয়। নিচের কার্টনে কিছু মিষ্টি নেওয়া হলেও বাকিগুলো থাকে ইয়াবা। যার ফলে এরা প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে শ্বশুর বাড়ির জামাইয়ের মতো বুক ফুলিয়ে চলে যায়। তাদের সাথে স্মার্ট ও সুন্দরী যুববয়সী নারী থাকে। যে স্থানে তাদের সন্দেহ হয় সেই স্থান দিয়ে ওই নারীর হাতে মিষ্টির প্যাকেট থাকে। এমনভাবে তারা কথা বলতে থাকে, মনে হয় স্বামী-স্ত্রী যায়। অনেক মাদক ব্যবসায়ী চাঁদপুর জেলার নামীদামী মিষ্টি নিয়ে চাঁদপুর থেকে লঞ্চযোগে ঢাকা যায়। আবার কেউ ঢাকা শহরের নামীদামী মিষ্টি নিয়ে চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চে ও চাঁদপুরের লঞ্চে করে ইয়াবা পাচার করে থাকে। কেউ সড়ক পথেও এ কৌশল অবলম্বন করে থাকে। মিষ্টির প্যাকেটে করে ইয়াবা পাচারে নৌপথকে বেশি ব্যবহার করা হয়।

প্রশাসন যে সকল মাদক ব্যবসায়ী আটক করছে এরা চুনোপুটি। কিন্তু বড় বড় রাঘববোয়াল তেমন একটা ধরা পড়ে না। মাদক ব্যবসায়ীদের নতুন নতুন কৌশলের নিকট প্রশাসনও হেরে যায়। এরা একেক সময় একেক কৌশলে মাদক পাচারে লিপ্ত হয়ে থাকে। যার ফলে জিরো টলারেন্স নীতি তেমন একটা কাজে আসে না। আর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের মধ্যে ভূত থাকায় তাদের অভিযানে কিছু চুনোপুটি আটক হয়ে থাকে এবং বড় বড় চালানসহ মাদক ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যায়।

চাঁদপুরের বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও পাচারকারীদের নামের তালিকা তৈরি করে আইনের আওতায় আনা হলে এবং আটককৃতদের জামিন না হলে মাদক বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল।

চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, মিষ্টির প্যাকেটে মাদক পাচারের বিষয়ে আমার জানা নেই। তারপরও দৃষ্টি রাখবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়