প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
পুরাণবাজারে নিহত আল-আমিন খানের স্বজনদের পাশে সমাজকল্যাণমন্ত্রী
মন্ত্রীকে ঘিরে মোহাম্মদ আলী মাঝির ফাঁসি ও বহিষ্কার দাবি
১১ জুন মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত আল-আমিন খানের স্বজনদের সান্ত¡না দিতে তাদের বাড়িতে গিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। গতকাল শনিবার তিনি পুরাণবাজার মেরকাটিজ রোড এলাকায় আল-আমিনদের বাসায় যান। নিহত আল-আমিন হচ্ছে পৌর ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মজিদ খান ডেঙ্গুর পুত্র।
বিকেলে মন্ত্রী আল-আমিনদের বাসায় গিয়ে পৌঁছলে তখন এলাকার কয়েকশ’ নারী-পুরুষ মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভকারীরা আল-আমিন খানের হত্যাকারী মোহাম্মদ আলী মাঝি এবং তার ছেলে সজিব মাঝির ফাঁসি দাবি করেন। একইসাথে তারা যুবলীগ থেকে মোহাম্মদ আলী মাঝির বহিষ্কার দাবি করেন। এ সময় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভে সোচ্চার ছিলেন।
মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি নিহত আল-আমিন খানের ঘরে গেলে তখন এক হৃদয়বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। আল-আমিনের স্ত্রী এবং তার বৃদ্ধা মা মন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বিলাপ করতে থাকেন। তখন আল-আমিনের অবুঝ দুই শিশু কন্যাও ছিল। মন্ত্রী তাদের কোলে তুলে নিয়ে আদর করেন। এ সময় আল-আমিনের বাবা আবদুল মজিদ খান ডেঙ্গু, তার মা, স্ত্রী ও স্বজনরা আল-আমিনকে সরাসরি গুলি করে হত্যাকারী সজিব মাঝি ও গুলির নির্দেশদাতা মোহাম্মদ আলী মাঝির ফাঁসি দাবি করেন। একইসাথে মোহাম্মদ আলী মাঝিকে দল থেকে বহিষ্কার দাবি করেন।
মন্ত্রীর সাথে এ সময় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ আলম মিল্টন, হাসান ইমাম বাদশা, পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, মোঃ আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান টুটুল, শেখ নজরুল ইসলাম বাদল, আঃ গণি গাজী, জিয়াউল আমিন দীপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি প্রমুখ।
মন্ত্রী নিহতের পরিবারকে শতভাগ প্রভাবমুক্ত এবং নিরপেক্ষতার সাথে এই হত্যাকাণ্ড এবং সংঘর্ষের বিচার হবে বলে আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, অপরাধী যে-ই হোক, তার পরিচয় অপরাধী, সন্ত্রাসী। তাদের পার পেয়ে যাবার কোনো সুযোগ নেই।