প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
হাসপাতালজুড়ে শোকের মাতম
চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে দু গ্রুপের সংঘর্ষে আলআমিন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি পেশায় অটোবাইক চালক, দু সন্তানের জনক। দুর্বৃত্তের ছোড়া গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে স্বজনরা দাবি করেন। এ ঘটনা ১১ জুন মঙ্গলবার রাতে ঘটে।
ওই রাতে নিহতের লাশ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে থাকাবস্থায় স্বজনদের আহাজারিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালজুড়ে তখন চলে শোকের মাতম। আতঙ্ক-ভয় আর কান্নার শব্দে হাসপাতালের পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। এ ঘটনা মুহূর্তে ‘টক অব দ্য টাউনে’ পরিণত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমজুড়ে তীব্র নিন্দা আর প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। খবর পেয়ে শত শত নারী-পুরুষ হাসপাতালে আসেন। সবাই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
এ সময় নিহত আলআমিনের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল মজিদ খান ডেঙ্গু সন্তান হারানো শোকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। ছেলে হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করেন তিনি। নিহতের ভাই বলেন, আমার নিরপরাধ ভাইকে মোহাম্মদ আলী মাঝির ছেলে সজিব মাঝি হত্যা করেছে, তাদের বিচার চাই। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা এলাকায় সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। কথায় কথায় সাধারণ মানুষকে অস্ত্রের ভয় দেখায়। তারা পুরাণবাজারে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আজ আমরা আমাদের নিরীহ ভাইকে হারিয়েছি, এ শোক আমরা কীভাবে সইবো।
এ ঘটনায় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় দু ঘণ্টার এ হামলা-পাল্টা হামলায় স্থানীয়দের বহু সম্পদের ক্ষতি হয়। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনায় আওয়ামী লীগসহ রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী নিহত আলআমিনের পরিবারকে সান্ত¡না দিতে হাসপাতালে আসেন।