প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
সরেজমিন প্রতিবেদন-১০ : শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন
কৃষকের কাছে যান না কৃষি অফিসার
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম। কৃষকরা বলেন, দু নয়নেও কৃষি অফিসার চোখে দেখি না। কে বা কারা আছেন তাও জানি না। কৃষি অফিসার যদি আসতো তাহলে সরকারি সকল কিছু পেতাম। কখনো কোনো কিছু পাইনি। নিজেরা সকল কিছু কিনে জমি চাষাবাদ করে আসছি। শুনেছি মেম্বার, বড় বড় কৃষক ও নেতাদের মাধ্যমে কৃষি অফিসার সরকারি ধান, সার ও বীজ কৃষকদের দিয়ে থাকেন। কই আমরা তো কোনো সময় পাই না। কারা পায় সরকারি ধান, সার ও বীজ? কৃষি অফিসার আমাদের এলাকায় কৃষকদের নিকট যদি আসতেন তাহলে প্রকৃত কৃষকরা সরকারি সকল কিছু পেতো।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনায়। তিনি চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
এ ব্যাপারে রণবলিয়া গ্রামের কৃষক মোঃ জামাল মিয়া বলেন, দু নয়নেও দেখি না কৃষি অফিসারকে দেখি না। কারা দায়িত্বে আছেন তাও জানি না। ৩০ বছর ধরে কৃষি কাজ করে আসছি। কখনো কোনো কিছু পাই না। সবজির চারা করে বিক্রি করাসহ আমি সকল কিছু চাষাবাদ করি। কারো পরামর্শ পাই না। পরামর্শ ও সরকারি প্রণোদনা ছাড়া নিজে নিজে সকল কিছু করে আসছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু জন কৃষক বলেন, মেম্বাররা নিজের পছন্দের কৃষকের নামের তালিকা দিয়ে থাকেন। সেই তালিকা অনুযায়ী কৃষকরা সরকারি ধান, সার ও সবজি বীজ পেয়ে থাকেন। কৃষি অফিসার নিজেরা গ্রামে গিয়ে কৃষকের নামের তালিকা তৈরি করে কাউকে ধান, কাউকে সার, কাউকে সবজি বীজ দিলে তাদের নামের তালিকার চেয়েও বেশি কৃষকরা সরকারি প্রণোদনা পেতো।
এ ব্যাপারে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম বলেন, আমার ব্লকে ৪ হাজারের মতো কৃষক রয়েছেন। আমি নিয়মিত ব্লকে গিয়ে কৃষকদের খোঁজখবর নিই। আমি প্রতি মাসে অফিসে প্রতিবেদন জমা দিয়ে থাকি।