প্রকাশ : ০৫ জুন ২০২৪, ০০:০০
নদী থেকে বালু উত্তোলনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছে চেম্বার জজ
মেঘনা নদী অববাহিকায় চাঁদপুর সদর উপজেলার তিনটি মৌজা থেকে চেয়ারম্যান সেলিম খানের মেয়ে সেলিনা বেগমকে (নিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী) বালু উত্তোলনে বাধা না দিতে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে ২ জুন রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন। এ আবেদনের ওপর মঙ্গলবার আবারো শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও শুনানি হয়নি।
আদালতে শুনানিতে ছিলেন রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার তিনটি মৌজায় অবস্থিত মেঘনা নদী থেকে চিহ্নিত জায়গায় বালু তোলার জন্যে সেলিনা বেগমকে বুঝিয়ে দিতে এবং সেখান থেকে বালু উত্তোলনে তাকে বাধা না দিতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য দিন ধার্য করে চেম্বার জজ আদালত। ফলে সেলিনা বেগম তিন মৌজা থেকে বালু তুলতে পারবেন না। চেম্বার আদালতে আবেদনের ওপর পরবর্তীতে শুনানি হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দেয়া তথ্যে জানানো হয়েছে, মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী হচ্ছেন চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সেলিম খানের মেয়ে সেলিনা বেগম। চাঁদপুর সদর উপজেলার চরজগন্নাথপুর, ল¹ীমারা ও থাকচর ল¹ীমারা, এই তিন মৌজায় হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের মাধ্যমে বালু মহাল হিসেবে ঘোষণার জন্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে চলতি বছর রিট করেন সেলিনা বেগম।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। পরবর্তী সময়ে রিট আবেদনকারীর করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৪ এপ্রিল হাইকোর্ট নির্দেশসহ আদেশ দেন। আদেশে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপে উল্লিখিত এলাকাগুলো সেলিনা বেগমকে বালু উত্তোলনের জন্যে সাতদিনের মধ্যে বুঝিয়ে দিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়।
উল্লেখিত জায়গায় বালু উত্তোলনে বাধা দেয়া থেকে বিরত থাকতে বিবাদীদের প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
এদিকে হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা ২ জুন রোববার চেম্বার আদালতে শুনানির জন্যে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় সেটি শুনানির জন্য রয়েছে।
এদিকে বালু তোলার উপর আদালতের স্থগিতাদেশ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশ হয়েছে শুনেছি, কিন্তু এখনো লেটার পাইনি।