বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০

চাঁদপুর সদর ও মতলব উত্তরে মেঘনায় ফের বালু সন্ত্রাস শুরু

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥
চাঁদপুর সদর ও মতলব উত্তরে মেঘনায় ফের বালু সন্ত্রাস শুরু

চাঁদপুরের নৌ সীমানার মেঘনা নদীতে বালুদস্যুরা আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বালু দস্যুরা চাঁদপুর সদর ও মতলব উত্তর উপজেলায় মেঘনা নদীতে আবার বালু সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। নানা কৌশলে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে বালুখেকো চক্র আবারো কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আগে হাইমচরে মেঘনা নদীতে বালু কাটা হতো, এখন চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন এলাকায় ১০/১২টি ড্রেজার দিয়ে বালু কাটা হচ্ছে বলে জানান রাজরাজেশ্বরের জনগণ। বিগত বছরগুলোতে যে চক্রটি নদীর বালু নিজের সম্পত্তি মনে করে দেদারছে কেটে বিক্রি করেছিল, ওই চক্রটি বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের নামে নতুন করে আদালতের অনুমতিপত্র নিয়ে এসে বালু কাটার উৎসবে মেতে উঠেছে। এখন তারা সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর এলাকায় বালু কাটছে বলে শহরজুড়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। স্থানীয় জনগণের প্রশ্ন হলো-আদালত অনুমতি দিলে অবশ্যই ম্যাপ দেয়া হয়েছে। বালু সন্ত্রাস চক্র কি সেই ম্যাপ অনুযায়ী বালু কাটছে? বাস্তবে মোটেই না। আর বালু কাটলে নদীর নাব্যতার জন্য ডুবোচর কাটার কথা। কিন্তু বাস্তবে তা হচ্ছে না। এদিকে মতলব উত্তর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মেঘনা নদী থেকে বেশ কিছুদিন যাবত বালু কাটছে একটি চক্র। কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সেখানে বালু কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

পর্যবেক্ষকের মতে, নদী রাষ্ট্রের। অথচ চিহ্নিত ব্যক্তিরা লাভবানে এই বালু উত্তোলন করে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করে যাচ্ছেন। পক্ষান্তরে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি ভালোভাবে জানেন, কারা এসব করছে। প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে মহল বিশেষ নদীতে নামার সাহস পায় কোত্থেকে-এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলসহ স্থানীয়দের কাছে।

এ বিষয়ে রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী বলেন, তার ইউনিয়ন সীমানায় মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে বলে তিনি জেনেছেন। কিন্তু কীভাবে চক্রটি এখান থেকে বালু উত্তোলন করছে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি আরো বলেন, এমনিতেই তার ইউনিয়নটির বিভিন্ন চর ও এলাকা নদীতে ভাঙছে। এখন যদি নতুন করে মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করা হয়, তাহলে চাঁদপুরের মানচিত্র থেকে রাজরাজেশ্বর নামক ইউনিয়নের চিহ্ন ও অস্বিস্ত হারিয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন। তিনি অবিলম্বে রাজরাজেশ্বর নৌ সীমানায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেলিম চেয়ারম্যান বালু উত্তোলন সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের একটি রায়ের কপি জমা দিয়েছেন। তাকে বলেছি আমরা যাচাই-বাছাই করি, তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। তাছাড়া আমরা উচ্চ আদালতে এ নিয়ে আপিল করবো। তাকে বালু উত্তোলন করতে নিষেধ করেছি। রোববার আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এ নিয়ে কথা বলবো।

এদিকে চাঁদপুর মেঘনা নদীতে নৌ পুলিশের নিয়মিত অভিযানে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকায় সাতটি বাল্কহেড থেকে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আট সুকানিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর দু’দিন আগেও রাজরাজেশ্বর মিনি কক্সবাজার এলাকা হতে বিভিন্ন বালুর জাহাজের আরো ১২জন সুকানিকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। ৩১ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামরুজ্জামান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়