বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কুমিল্লা সীমান্তে পুকুরে দেয়াল নির্মাণ করছে বিএসএফ, সতর্ক অবস্থানে বিজিবি
  •   টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগের দাবির মধ্যে নতুন বিতর্ক
  •   স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে হাজীগঞ্জ রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের শীতকালীন ত্রাণসেবা
  •   খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, করা হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা
  •   সীমান্তে অস্থিরতা: পাগল বেশে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ কারা?

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০

ফলোআপ

হাজীগঞ্জে দাদি-নাতি খুনের ঘটনায় আটক যুবকের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ

কামরুজ্জামান টুটুল ॥
হাজীগঞ্জে দাদি-নাতি খুনের ঘটনায় আটক যুবকের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ

হাজীগঞ্জে দাদি হামিদুন্নেসা (৭২) ও নাতি আরাফাত হোসেন (১২) খুনের ঘটনায় সন্দেহজনক প্রধান আসামি আলম (৩৬)কে আটক করেছে র‌্যাব ১১ কুমিল্লা। দাদি-নাতি খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল ১ জুন শনিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। তবে এই খুনের তথ্য উদ্ঘাটনের জন্যে আসামির রিমান্ড চাইবে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আব্দুর রহমান। আলম হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার মেহের আলী হাজী বাড়ির আব্দুল হামিদের ছেলে। দাদি হামিদুন্নেসা ও নাতি আরাফাত হোসেন খুনের ঘটনার পর থেকে আলম পলাতক ছিলেন। একই ঘটনায় মারাত্মক আহত হালিমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার আলমকে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আলম মুখ খোলেনি। এজন্যে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে এবং রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ মে সোমবার দিবাগত রাতে রেমালের প্রচণ্ড ঝড়বৃষ্টির মধ্যে দুর্বত্তরা বসতঘরে ঢুকে দাদি হামিদুন্নেছা, নাতি আরাফাত ও নাতনি হালিমা আক্তার মিমকে কুপিয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে হামিদুন্নেছা ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় নাতি। আর নাতনি হালিমা মারাত্মক আহত হয়। ঘটনার পরেই পাশের লোকজন খবর পেয়ে ওই ঘরে ঢুকে দাদী হামিদুনেছা (৭০), নাতি আরাফাত (১২) ও নাতনি হালিমা (১৫)কে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পায়। তবে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান দাদি আর হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রাণ হারান নাতি। এ ঘটনায় একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ সুপার ও পিবিআই কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গত ২৭ মে সোমবার দিবাগত গভীর রাতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী হত্যাকাণ্ডটি ঘটে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের পশ্চিম রাধাসার বকাউল বাড়িতে। হত্যার শিকার হামিদুন্নেছা ওই বাড়ির সিরাজ বকাউলের স্ত্রী আর নিহত আরাফাত ও আহত হালিমা ওই বাড়ির প্রবাসী ইউসুফের সন্তান। আরাফাত শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং হালিমা একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী, নিহত হামিদুন্নেছা বেগম প্রবাসী ইউসুফের মা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়