প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর সাহিত্য আড্ডায় লিয়াকত আলী লাকী
মফস্বলের লেখা জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়
‘সওগাত’ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও ‘বেগম’ পত্রিকার সম্পাদক নূরজাহান বেগমের জীবন ও কর্ম নিয়ে গত ৫ মে শুক্রবার বিকেল ৫টায় সাহিত্য আড্ডার আয়োজন করে চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমী। দীর্ঘদিন পর কবি ও লেখকদের পদচারণায় মুখরিত হয় সাহিত্য একাডেমী প্রাঙ্গণ।
সাহিত্য একাডেমীর অন্তর্বর্তীকালীন (এডহক) কমিটির সদস্য কাদের পলাশের সঞ্চালনায় মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন এবং নূরজাহানের জীবন ও কর্ম নিয়ে চমৎকার আলোচনা করেন ম. নূরে আলম পাটওয়ারী। এরপর স্বরচিত ছোটগল্প পাঠ করেন নবীন কবি ও লেখক ইয়াছিন দেওয়ান। আলোচনায় অংশ নেন চাঁদপুরের প্রবীণ লেখক আব্দুল গনি, চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাইদুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি সামীম আহমেদ খান, অনুবাদক মাঈনুল ইসলাম মানিক, লেখক ও গবেষক মুহম্মদ ফরিদ হাসান, কবি ও লেখক আশিক বিন রহিম প্রমুখ।
এরপর হঠাৎ সাহিত্য আড্ডায় উপস্থিত হন দেশের বরেণ্য সংস্কৃতিজন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও কালচারাল অফিসার আবু সালেহ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (সৌম্য সালেক) এবং চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার দিতি সাহা। তাঁদের উপস্থিতি কবি ও লেখকদের অনেক আলোড়িত করে।
অতিথির বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, জেলা পর্যায়ে এমন সাহিত্য আড্ডার আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ। সাহিত্যের সাথে আমি আছি এবং থাকবো। এমনিক চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমীর পাশেও আমি আজীবন থাকবো। কারণ আমাদের সংস্কৃতির জাগরণ আরো সমৃদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, মফস্বলের লেখকদের লেখা জাতীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। তাদের লেখাকে যথাযথ মূল্যায়ন করে পুরস্কৃত করা হয়। তাই সাহিত্য চর্চা আরো বেশি বেশি করতে হবে।
লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর রোটারী ক্লাবের সভাপতি অ্যাডঃ শরীফ মাহমুদ ফেরদাউস শাহীন, স্বপন ভঞ্জ, পলাশ কুমার দে, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল হোসাইন, লেখক এইচএম জাকির হোসেন, কবি ও লেখক জাহিদ নয়ন, কবির হোসেন মিজি, আরিফুল ইসলাম শান্ত, সুমন কুমার দত্ত, বিথী নন্দী, অভিজিত আচার্যী প্রমুখ।