প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৪, ০০:০০
সরেজমিন প্রতিবেদন-৬ : কল্যাণপুর ইউনিয়ন
‘কৃষি অফিসারের দেখা পাই না, নিজের অভিজ্ঞতায় কৃষি কাজ করে আসছি’
চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের আমানুল্লাহপুর, দাসদী ও দাসাদী ব্লকের দায়িত্বে রয়েছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম। কৃষকরা বলেন, নিজের অভিজ্ঞতায় আমরা কৃষি কাজ করে আসছি। গত ১৫/২০ দিন আগে ধান কাটার সময় কৃষি অফিসার এসে ধান কাটার প্রদর্শনী করে গেছেন। এছাড়া আমরা কৃষি অফিসারকে আমাদের এলাকায় আসতে দেখি না। আমরা কৃষি বিভাগ থেকে কোনো পরামর্শ বা উৎসাহ পাই না। গত বছর (সাবেক উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা) বিজলী বৌদি আমাদের এখানে ক’দিন পর পর এসে আমাদের খোঁজ খবর নিতেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল ইসলামের বাড়ি রংপুর জেলায়। চাকরির সুবাদে তিনি চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেস এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
এ ব্যাপারে কৃষক ফিরোজ ভূঁইয়া ও মজিবুর রহমান বলেন, গতবছর বিজলী বৌদি ক’দিন পর পর এসে আমাদের খোঁজ খবর নিতেন। এ বছর কোনো কৃষি অফিসার আসেন নি। গত ১৫-২০ দিন আগে ধান কাটার সময় প্রদর্শনী করার জন্যে কৃষি অফিসার এসেছেন। এছাড়া কৃষি অফিসারকে আসতে দেখি না। আমাদেরকে পরামর্শ ও উৎসাহ দিতে আসেন না। ক্ষতিপূরণ ও সরকারি বীজ ও সার তো কোনো সময় পাই না।
খেরুদিয়া দেলোয়ার হোসেন স্কুল এন্ড কলেজের সাবেক সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল খায়ের প্রধানিয়া বলেন, ছাত্র জীবন থেকে এ পর্যন্ত নিজের অভিজ্ঞতায় কৃষি কাজ করে আসছি। পুরুষ কৃষি অফিসার আসতে দেখি না।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুল ইসলাম বলেন, আমি এখানে নতুন এসেছি। ভালো ফসল হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সবার বাইরে। যারা কৃষক তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে থাকি।